ছোটবেলায় যে কারো দাঁত নড়বড়ে হলে অনেক কসরত করে তা ফেলে দিতেন বড়রা। ছোট মানুষটি ভয়ে ভয়ে থাকত। চীনে বড়দের এ কাজটি করেছে একটি তোতাপাখি। এর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, দেশটির ফোশান অঞ্চলে এক কিশোরের হাতে একটি তোতাপাখি। একপর্যায়ে কিশোরটি তার মুখ ‘হা’ করে, এরপর তোতাপাখিকে তার মুখের কাছে নিয়ে আসে। এ সময় তার নড়াচড়া করা একটি দাঁত তুলে দিতে পাখির মুখটা সেই জায়গায় দেয়। খুব দ্রুত ও নির্ভুলভাবে তোতাপাখি কিশোরের নড়বড়ে দাঁতটি তুলে আনে।
তোতাপাখি কিশোরের মুখ থেকে তুলে আনা দাঁতটি কাছের অন্য কারো হাতে দিয়ে দেয়। ভাইরাল এই ভিডিও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মুগ্ধ করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) ডিসকোভার গুয়াংজু নামের এক আইডিতে ভিডিওটি দিয়ে ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘তোতাপাখি কি ডেন্টিস্ট (দাঁতের চিকিৎসক) হতে পারে? চীনের জে জিয়াং প্রদেশে মাত্র এক সেকেন্ডে একটি কিশোরের নড়াচড়া করা দাঁত তুলে দিয়েছে তোতাপাখি।’
জীবজগতের অদ্ভুত সহাবস্থানের নানা গল্প শুনা যায়। বন্য প্রাণিজগতে মিসরীয় প্লোভার পাখি ভয়ংকর প্রাণী কুমিরের সঙ্গে সহাবস্থান করে থাকে। খাবারের বিনিময়ে কুমিরের দাঁত পরিষ্কার করে দেয়। ছোট্ট পাখিটি কুমিরের মুখের ভেতরে প্রবেশ করে দাঁতের মাঝখানে আটকে থাকা খাদ্যকণা বা পোকামাকড় সরিয়ে দেয়।
প্লোভার পাখির এই কাজের ফলে কুমিরের দাঁত পরিষ্কার হয়, সংক্রমণের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। আবার এই দাঁত পরিষ্কার করতে গিয়ে প্লোভার পাখি পেয়ে যায় তার খাবার।
তোতাপাখিও দাঁত তুলতে দারুণ দক্ষতা দেখিয়েছে। অবশ্য শিকাগো এক্সোটিকস অ্যানিমেল হসপিটালের বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, মানুষের থুতু বা লালায় এমন রোগ সৃষ্টিকারী উপাদান থাকে, যা পাখির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। অনেক সময় এর বিষক্রিয়ায় পাখি আক্রান্ত হতে পারে। সুতরাং সুপারিশ করা যাচ্ছে, পাখির ঠোঁট কখনোই মানুষের মুখ কিংবা নাকের ভেতরে দেওয়া উচিত নয়।
আমারবাঙলা/এমআরইউ