সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের রাজধানী দামেস্কে প্রবেশের মুখে গত রবিবার (৮ ডিসেম্বর) রাশিয়ায় চলে যান দেশটির শাসক বাশার আল-আসাদ। সর্বশেষ রাশিয়া জানিয়েছে, বাশার আল-আসাদকে নিরাপদে দামেস্ক থেকে সরিয়ে রাশিয়ায় নেওয়া হয়েছে।
দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রায়াবকভ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) এবিসি নিউজকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। তিনি জানান, বিদ্রোহীদের ত্বরিত অগ্রযাত্রার মুখে বাশার আল-আসাদকে খুবই সুরক্ষিত উপায়ে দামেস্ক থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে।
রায়াবকভ আরো বলেন, ‘তিনি (বাশার আল-আসাদ) সুরক্ষিত ছিলেন। এর অর্থ হলো, এমন বিস্ময়কর পরিস্থিতিতে রাশিয়া প্রয়োজন অনুযায়ী ভূমিকা রাখে।’
প্রশ্ন করা হয়েছিল, বাশার আল-আসাদকে এখন বিচারের জন্য ফেরত দেওয়া হবে কিনা? জবাবে রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সরাসরি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এ-সংক্রান্ত সনদের অংশীজন নয় রাশিয়া।’
সিরিয়ায় বিদ্রোহী যোদ্ধাদের মাত্র ১২ দিনের অভিযানে রবিবার ভোরের দিকে ঘনিষ্ঠ মিত্রদেশ রাশিয়ায় পালিয়ে যান তিনি।
এর মধ্য দিয়ে সিরিয়ায় বাশার আল–আসাদের ২৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। বাবা হাফিজ আল-আসাদ ও ছেলে বাশার আল-আসাদ মিলে টানা ৫৪ বছর সিরিয়া শাসন করেছেন।
বাশার আল-আসাদের গন্তব্য নিয়ে দীর্ঘ সময় কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। পরবর্তী সময়ে রাশিয়া জানায়, বাশার আল–আসাদ প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করে রাশিয়ায় চলে এসেছেন।
আগে থেকেই বাশার আল-আসাদের স্ত্রী-সন্তানেরা মস্কোয় অবস্থান করছিলেন। রাশিয়া জানিয়েছে, তাদের রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার জানিয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজেই সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে মস্কোতে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করেছেন। তবে তিনি এখন ঠিক কোথায় আছেন, তা জানায়নি ক্রেমলিন।
আমারবাঙলা/এমআরইউ