সিরিয়ার ভূখণ্ডে ২৫০টির বেশি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলের নিরাপত্তা–সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম এ কথা জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের বিমানবাহিনীর ইতিহাসে এটি সিরিয়ায় অন্যতম বড় হামলার ঘটনা। সিরিয়ায় ২৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতন ও দেশ ছেড়ে রাশিয়ায় পালিয়ে যাওয়ার পর এই হামলা চালানো হয়েছে।
রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত ইসরায়েলি আর্মি রেডিও সূত্রের নাম গোপন রেখে জানায়, সিরিয়ার ভূখণ্ডে ২৫০টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
সূত্রটি জানিয়েছে, বাশার আল-আসাদের সামরিক বাহিনীর ঘাঁটি, কয়েক ডজন যুদ্ধবিমান, ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, উৎপাদন ক্ষেত্র, ওয়্যারহাউস এবং ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল।
বিদ্রোহী যোদ্ধাদের মাত্র ১২ দিনের অভিযানে গত রবিবার বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন ঘটে। বাবা হাফিজ আল-আসাদ ও ছেলে বাশার আল-আসাদ মিলে টানা ৫৪ বছর সিরিয়া শাসন করেছেন।
সিরিয়া থেকে ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন বাশার আল-আসাদ। তাকে রাশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। পরিবারের সদস্যসহ তিনি এখন মস্কোয় অবস্থান করছেন।
এদিকে বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার কৃতিত্ব দাবি করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। রবিবার সিরিয়া-ইসরায়েল সীমান্ত পরিদর্শনে গিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আসাদ সরকারের প্রধান সমর্থক ইরান ও হিজবুল্লাহর ওপর আমরা যে আঘাত হেনেছি, তার প্রত্যক্ষ ফলাফল এটি।’
আমারবাঙলা/এমআরইউ