সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের দিকে এগিয়ে আসছেন বিদ্রোহীরা। দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদের সরকারি বাহিনী এখনো প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করছে। তবে দামেস্কের বিভিন্ন শহরতলির ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছেন বিদ্রোহীরা। এ পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট দামেস্ক ছেড়েছেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। তবে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, প্রেসিডেন্ট দামেস্কেই অবস্থান করছেন।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) প্রেসিডেন্ট বাশারের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, কিছু বিদেশি গণমাধ্যমে গুঞ্জন ও ভুয়া খবর ছড়ানো হচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট দামেস্ক ছেড়েছেন বা দ্রুত অন্য দেশে চলে গেছেন। কিন্তু তা সত্য নয়। প্রেসিডেন্ট জাতীয় ও সাংবিধানিক কাজে ব্যস্ত রয়েছেন এবং রাজধানী দামেস্কেই আছেন।
অবশ্য আসাদ দামেস্ক ছেড়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে বিবিসির সরাসরি সম্প্রচারে বলা হয়েছে, বাশার আল-আসাদ দামেস্ক ছাড়লেও কোথায় গেছেন, সেটি তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
গত বুধবার থেকে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো আকস্মিক হামলা চালিয়ে বাশারের বাহিনীকে পিছু হটতে বাধ্য করেছে। গত ২৭ নভেম্বর হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো সরকারি বাহিনীর ওপর আকস্মিক হামলা শুরু করে। আল-কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সংগঠন থেকে বের হয়ে এইচটিএস গঠিত হয়। এইচটিএসের নেতৃত্বে ঘটনার আকস্মিকতায় দৃশ্যত অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে সরকারি বাহিনী। বিদ্রোহীরা সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পো দখল করে নেয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার মধ্যাঞ্চলীয় হামা শহর থেকে পিছু হটে সরকারি বাহিনী। এর পর থেকে একে একে অন্য শহরগুলোর নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে আসাদের সরকারি বাহিনী।
এদিকে শিগগিরই বাশার আল–আসাদ সরকারের পতন হবে বলে জানিয়েছেন এইচটিএস প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি। এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘আপনারা দামেস্ক ও হোমসের কিনারায় আছেন। যেকোনো সময় সরকারের পতন হবে।’
যোদ্ধাদের প্রতি ওই বার্তায় সাধারণ মানুষের প্রতি ভালো আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন এইচটিএস প্রধান।
অন্যদিকে প্রায় দুই হাজার সিরিয়ান সেনা সীমান্ত পার হয়ে ইরাকে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইরাকের সীমান্তবর্তী সিরিয়ার আল-কায়িম শহরের মেয়র।
এদিকে জাতিসংঘের সিরিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত গেয়ার পেডারসন সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
আমারবাঙলা/এমআরইউ