পুলিশের কাজ অপরাধীদের নিয়ে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিধানও তাদের কাজ। সর্বোপরি আইনশৃঙ্খলার সুরক্ষার কাজ করে পুলিশ। আর এতে করে পুলিশ মানে অনেকটা ভয়ের বিয়য়।
কিন্তু বানর পুলিশকে ভয় না পেয়ে উল্টো থানাতেই অবরুদ্ধ করে রাখে। ঘটনাটি থাইল্যান্ডের। প্রায় ২০০ বানরের একটি দল দেশটির একটি পুলিশ স্টেশনে হামলা করে সেখানকার পুলিশদের বেশ কয়েক ঘণ্টা আটকে রেখেছিল।
থাইল্যান্ডের মধ্যাঞ্চলের লপবুরি প্রদেশের রাজধানী লপবুরিতে শনিবার (১৬ নভেম্বর) এমনই এক ঘটনা ঘটেছে। উচ্ছৃঙ্খল বানরের আক্রমণের শিকার হওয়া অবশ্য থাইল্যান্ডের এই নগরের বাসিন্দাদের জন্য নতুন নয়। অনেক দিন ধরেই তারা বানরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। সেখানে বানরের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে।
খাবারের খোঁজে বানরের দল যখন-তখন লোকালয়ে যেখানে–সেখানে হানা দিচ্ছে। কখনো কখনো সেগুলো আক্রমণাত্মকও হয়ে ওঠে। উচ্ছৃঙ্খল বানরের দলকে আটকাতে নগর কর্তৃপক্ষ বিশেষ ধরনের বেষ্টনীও নির্মাণ করেছে। কিন্তু তাতে সব সময় শেষ রক্ষা হচ্ছে না।
যেমনটি হয়েছে লপবুরি পুলিশ স্টেশনে। শনিবার হঠাৎ প্রায় ২০০ বানর বেরিয়ে আসে এবং নগরজুড়ে তাণ্ডব শুরু করে। একপর্যায়ে বানরের একটি দল লপবুরি থানায় হানা দেয়।
পুলিশ ক্যাপ্টেন সোমচাই সিদি সোমবার (১৮ নভেম্বর) এএফপিকে বলেন, খাবারের খোঁজে বানরের দল থানার ভেতর ঢোকার চেষ্টা করছিল। তাদের আটকাতে আমরা ভবনের সব দরজা-জানালা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছি।
এই পুলিশ কর্মকর্তার ভয় ছিল, বানরের দল ভবনের ভেতর ঢুকে তাণ্ডব চালাতে পারে। তছনছ করতে পারে নথিপত্রসহ পুলিশ স্টেশনে থাকা জিনিসপত্র।
সোমচাই সিদি বলেন, শনি ও রবিবার পুলিশ সদস্যদের অনেকটা বাধ্য হয়ে থানার ভেতর দরজা-জানালা বন্ধ করে থাকতে হয়।
পরে বানর তাড়াতে অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের পুলিশ স্টেশনে ডেকে আনতে হয়। তারা এসে হামলাকারী বানরদের তাড়িয়ে লপবুরি থানায় আটকে পড়া পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করেন। রবিবার (১৭ নভেম্বর) এক ফেসবুক পোস্টে পুলিশই এ কথা জানিয়েছে।
তবে সব বানর এখনো থানা ছেড়ে যায়নি। মঙ্গলবারও (১৯ নভেম্বর) বেশ কয়েকটি বানরকে থানা ভবনের ছাদে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। খাবারের খোঁজে বানরের আবাসিক এলাকায় আক্রমণ ঠেকাতে পুলিশ ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ রাস্তায় নেমে সেগুলোকে ধরার চেষ্টা করছে।
আমারবাঙলা/এমআরইউ