ভারতের উত্তরপ্রদেশে হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে আরো কমপক্ষে ৩৭ শিশুকে। মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাতে প্রদেশটির ঝাঁসির মহারানি লক্ষ্মীবাঈ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শর্টসার্কিট থেকেই হাসপাতালের শিশু বিভাগে আগুন লেগেছে।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মেডিক্যাল কলেজটির এনআইসিইউতে (নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) আগুন লাগে। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিস।
অবশ্য ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই এনআইসিইউ’র জানলা ভেঙে চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্মীরা রোগীদের অনেককে বাইরে বের করতে সক্ষম হন। অনেক শিশুকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে দমকল বাহিনীর অনুমান, শর্ট সার্কিটের কারণেই আগুন লেগেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এনআইসিইউ হঠাৎ ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। দমকল কর্মীরা পৌঁছানোর আগেই শিশু বিভাগের জানালা ভেঙে ৩৭ জন শিশুকে উদ্ধার করে বাইরে বের করা হয়।
ঝাঁসির জেলা প্রশাসক অবিনাশ কুমার বলেন, ঠিক কী কারণে আগুন লেগেছে তা তদন্ত করে দেখার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বেশিরভাগ শিশুকেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১০ জন শিশু মারা গেছে।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ঝাঁসি মেডিক্যাল কলেজের এনআইসিইউতে আগুন লেগে শিশুদের মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। মৃতদের আত্মার শান্তি কামনা করি। আহতরা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।
হাসপাতালের প্রধান মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট শচীন মহর বলেন, আগুন লাগার সময় সেখানে ৫৪টি শিশু ভর্তি ছিল। আগুন লাগার কারণে অনেক শিশু আটকা পড়েছিল। আটকা পড়া শিশুদের উদ্ধার করা হয়েছে। শুরু থেকেই আগুন নেভাতে চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ঘরটিতে অধিক পরিমাণে অক্সিজেন থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল। অনেক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। ১০টি শিশু মারা গেছে। আহত শিশুদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আমারবাঙলা/এমআরইউ