যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বুঝি জয়ী হয়েই গেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবশ্য দেশটির স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে তিনি নিজেকে বিজয়ী ঘোষণাও করেছেন। সর্বশেষ খবরও বলছে তাই। অর্থাৎ অনেকটা নিশ্চৎ আগামী চারবছর হোয়াইট হাইসের অধিবাসী তিনি।
নির্বাচনে দোদুল্যমান সাত রাজ্যের মধ্যে তৃতীয় রাজ্য হিসেবে পেনসিলভানিয়ার ফল প্রকাশ হয়েছে। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের খবর অনুযায়ী, সেখানে জয় পেয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তার এ জয়ের মাধ্যমে ইলেকটোরাল কলেজের ২৬৬টি ভোট নিশ্চিত হলো। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে গেলে ইলেকটোরাল কলেজের ২৭০টি ভোট দরকার পড়ে।
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পই এ নির্বাচনে জিততে যাচ্ছেন বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্রের দৈনিক দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। দৈনিকটির রাজনৈতিক সাময়িকী ‘নিডলস’ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এ তথ্য।
পত্রিকাটির পূর্বাভাস বলছে, চলতি এই নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত ৩০১টি ইলেক্টোরাল ভোট পাবেন ট্রাম্প। অন্যদিকে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিস পাবেন ২৩৮টি ভোট।
যুক্তরাষ্ট্রের সাত দোদুল্যমান রাজ্য হলো জর্জিয়া, অ্যারিজোনা, মিশিগান, পেনসিলভানিয়া, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলাইনা ও উইসকনসিন।
এখন যে চার দোদুল্যমান রাজ্যের ভোট বাকি রইল তার মধ্যে সবকটিতেই ট্রাম্প এগিয়ে আছেন। এর মধ্যে উইসকনসিনে ৯০ ভাগ ভোট গণনা হয়ে গেছে। সেখানে ট্রাম্প তার প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসের চেয়ে চার শতাংশের বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন। এ অঙ্গরাজ্যে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ১০। এ রাজ্যে ট্রাম্প জিতলে তার ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা হবে ২৭৬।
সাত দোদুল্যমান রাজ্যের মধ্যে প্রথমে নর্থ ক্যারোলাইনা এবং পরে জর্জিয়াতে জেতেন ট্রাম্প । আর দুটিতে জিতে তার ইলেকটোরাল ভোট দাঁড়ায় ২৪৭টিতে। নর্থ ক্যারোলাইনাতে জর্জিয়াতে ইলেকটোরাল কলেজ ভোট ১৬টি করে। আর পেনসিলভানিয়ায় ভোটের সংখ্যা ১৯।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের অধিকাংশই ডেমোক্র্যাটিক কিংবা রিপাবলিক পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। অর্থাৎ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ও গণনা শেষ হওয়ার আগেই বলে দেওয়া যায় যে কোন রাজ্যে কোন দলের প্রার্থী জিতবে।
ট্রাম্প নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করে মঙ্গলবার গভীর রাতে ফ্লোরিডায় উচ্ছ্বসিত সমর্থকদের সামনে ভাষণ দেন। আর ইতিহাস গড়া হলো না ভারতীয় ও আফ্রিকান বংশোদ্ভুত কমলা হ্যারিসের। ডেমোক্র্যাট দলীয় এ প্রার্থী হেরে যাওয়ায় আড়াইশ বছরে কোনো নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত না হওয়ার ইতিহাস আরো দীর্ঘায়িত হলো। মন খারাপ কমলা যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে তার সমর্থকদের উদ্দেশে কিছু বলেননি।
আমারবাঙলা/এমআরইউ