ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকে বরখাস্ত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ বরখাস্তের আদেশ আসে। যুদ্ধের সময় পারস্পরিক বিশ্বাসের অভাবকে এ পদক্ষেপের পেছনের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন নেতানিয়াহু।
দ্য টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, গ্যালান্টের স্থলাভিষিক্ত হবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ। অন্যদিকে গিডিয়ন সার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কাটজের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
একটি সংক্ষিপ্ত চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলেছে, রাত ৮টার দিকে এক বৈঠকে গ্যালান্টকে বরখাস্তের চিঠি দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে নেতানিয়াহু তাকে জানিয়েছিলেন, এই চিঠি প্রাপ্তির ৪৮ ঘণ্টা পর বরখাস্তের আদেশ কার্যকর হবে।
চিঠিটির শেষে নেতানিয়াহু লিখেছেন, ‘প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে আপনার পরিষেবার জন্য আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।’
এ ঘোষণার মাধ্যমে দুই বছরের কম সময়ে দ্বিতীয়বার নেতানিয়াহু গ্যালান্টকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করলেন। এর আগে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে নেতানিয়াহু গ্যালান্টকে বরখাস্ত করেন। যদিও এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে তাকে পুনর্বহাল করা হয়েছিল।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস যখন দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালায় তখন গ্যালান্ট প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। নানা বিতর্ক এড়িয়ে গাজা উপত্যকায় পরবর্তী যুদ্ধের সময়ও তিনি পদে বহাল ছিলেন। এরই মধ্যে দক্ষিণ লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। এ অভিযানে বহু ইসরায়েলি সেনা হতাহত হচ্ছে।
এদিকে ইয়োভ গ্যালান্টের বরখাস্তের প্রতিবাদে ইসরায়েলের তেল আবিব শহরে শত শত মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরো তীব্র আকার ধারণ করেছে বলে মত বিশ্লেষকদের।
অন্যদিকে ইয়োভ গ্যালান্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক সংক্ষিপ্ত বার্তায় বলেছেন, যেখানে, যে অবস্থাতেই থাকি না কেন, যতদিন বেঁচে আছি— আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিশন থাকবে ইসরায়েল এবং তার নাগরিকদের নিরাপত্তা।
পরে একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গ্যালান্ট বলেন, তিনটি ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরে নেতানিয়াহুর সঙ্গে মতানৈক্য চলছিল তার। এই ইস্যুগুলো হলো— অতি রক্ষণশীল ইহুদিদের সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্তি, হামাসের কব্জায় থাকা জিম্মিদের উদ্ধারে নেতানিয়াহু এবং মন্ত্রিসভায় তার অনুগতদের উদাসীনতা এবং হামাসের গত ৭ অক্টোবরের হামলার দাপ্তরিক তদন্ত শুরু করা নিয়ে নেতানিয়াহুর গড়িমসি।
আমারবাঙলা/এমআরইউ