আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারে টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে টানা বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২৬ জনে দাড়িঁয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৭৭ জন।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের খবরে গত এক সপ্তাহে বন্যা-ভূমিধসে হতাহতের এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানানো হয়।
ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু অংশে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে; যার প্রভাবে এই অঞ্চলের কিছু দেশে ব্যাপক বৃষ্টি ও বন্যা শুরু হয়েছে। ইয়াগির আঘাত ও এর জেরে সৃষ্ট ঝোড়ো হাওয়া-প্রবল বর্ষণ-বন্যা ও ভূমিধসে ভিয়েতনামেও অন্তত ২৯২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া দেশটিতে আহত হয়েছেন আরও ৮ শতাধিক মানুষ।
দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম জানায়, গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা বৃষ্টি-বন্যা-ভূমিধসে অন্তত ২২৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে নিখোঁজ রয়েছেন আরও প্রায় ৭৭ জন।
মিয়ানমারের সামরিক সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ৯টি অঞ্চল ও রাজ্যে মোট ৩৮৮টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। শুভাকাঙ্ক্ষীরা এসব শিবিরে পানীয় জল, খাদ্য এবং পোষাক দান করেছেন।
জাতিসংঘের মানবিক দাতব্য সহায়তা বিষয়ক সমন্বয়কের কার্যালয় (ওসিএইচএ) জানিয়েছে, ভারী বর্ষণ এবং বন্যায় কেবল মান্দালয় অঞ্চলেই প্রায় ৪০ হাজার একর কৃষি জমি তলিয়ে গেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ২৬ হাজার ৭০০ বাড়িঘর।
জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) জানায়, বন্যা-ভূমিধসে বেশ কিছু রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত এবং টেলিকম ও বিদ্যুৎ নেটওয়ার্ক সেবা ব্যাহত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বন্যা কবলিত অনেক অঞ্চলে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
আমার বাঙলা/এমআর