আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বলিভিয়ার সেনা প্রধান বুধবার প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনের সামনে অবস্থান নেওয়ার জন্য সৈন্য ও ট্যাঙ্ক পাঠানোর পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রেসিডেন্ট লুইস আর্স এটাকে একটি অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টা হিসেবে অভিহিত করেছেন।
গতকাল বিকেলে সৈন্য এবং ট্যাঙ্কগুলো যেখানে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ এবং কংগ্রেস ভবন অবস্থিত ঐতিহাসিক স্কোয়ার প্লাজা মুরিলোতে প্রবেশ করে। সারা বিশ্ব এটাকে গণতন্ত্রের ওপর আঘাত হিসেবে উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা জানায়।
একটি ট্যাঙ্ক প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের ধাতব দরজা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেছিল। সৈন্য এবং আটটি ট্যাঙ্ক দ্বারা পরিবেষ্টিত বর্তমানে বরখাস্ত হওয়া সেনা প্রধান জেনারেল হুয়ান জোসে জুনিগা বলেছেন, ‘সশস্ত্র বাহিনী গণতন্ত্রকে পুনর্গঠন করতে চায়। দেশকে একটি সত্যিকারের পূর্ণ গণতান্ত্রিক রাষ্টে পরিণত করতে চায়। কারণ, গত ৩০, ৪০ বছর ধরে মুষ্টিমেয় কয়েকজন লোক দ্বারা দেশটি পরিচালিত হচ্ছে।’
প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে বিদ্রোহ চলে। এর কিছুক্ষণ পর এএফপি’র সাংবাদিকরা স্কোয়ার থেকে সৈন্য ও ট্যাঙ্ককে পিছু হটতে দেখেন।
তিনি যখন একটি সামরিক ব্যারাকের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করছিলেন, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের ফুটেজে দেখার পরে জুনিগাকে বন্দী করা হয় এবং পুলিশের একটি গাড়িতে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই সময় ডেপুটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনি আগুইলেরা জুনিগাকে বলেছেন, ‘জেনারেল, আপনাকে গ্রেপ্তার করা হলো।’
প্রেসিডেন্ট আর্স কয়েকশ’ সমর্থকের সামনে তার সরকারি প্রাসাদের একটি বারান্দা থেকে বলেছিলেন, ‘আমরা যে গণতন্ত্র জিতেছি তা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।’
এর আগে তিনি প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের অভ্যন্তরে তার সরকারের মন্ত্রীদের পাশাপাশি দেশটির টেলিভিশনে এক বার্তায় ‘গণতন্ত্রের পক্ষে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে সংগঠিত হওয়ার জন্য বলিভিয়ার জনগণকে’ আহ্বান জানিয়েছিলেন।
জুনিগাকে গুলি করে তিনি নতুন সামরিক নেতাদের শপথও করেছিলেন।
তাকে গ্রেফতারের ঠিক আগে জুনিগা সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আসলে প্রেসিডেন্ট তাকে একটি বিদ্রোহ করতে বলেছিলেন। এইভাবে একটি অভিযান শুরু করলে তাকে শক্তিশালী দেখাবে এবং জনপ্রিয়তার অনুমোদনের রেটিং বাড়িয়ে তুলবে।
রোববার এক বৈঠকে জেনারেল বলেন, জুনিগা আর্সকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন ‘তাহলে আমরা সাঁজোয়া যান বের করব?’ প্রেসিডেন্ট উত্তরে বলেছিলেন,ওদের বের করে আনুন।’
জেনারেল বলেন, আর্সের নির্দেশনা ছিল ‘তার জনপ্রিয়তা বাড়াতে কিছু করার জন্য।’
এবি/এইচএন