আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানের উত্তরের সারিপুল প্রদেশে প্রায় ৬৩ জনকে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার আফগানিস্তানে জাতিসংঘের মিশন (ইউএনএএমএ) এই তথ্য জানিয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় জাতিসংঘ বুধবার নিন্দা জানিয়েছে এবং তালেবান কর্তৃপক্ষকে এই ধরনের ঘটনা না ঘটানোর আহ্বান জানিয়েছে।
এক্স-এ পোস্ট করা এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের সংস্থাটি বলেছেন, ‘ইউএনএএমএ শারীরিক শাস্তির নিন্দা জানাচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের বাধ্যবাধকতার প্রতি সম্মান জানানোর আহ্বান জানাচ্ছে।’
তালেবানের সুপ্রিম কোর্ট একটি বিবৃতিতে ১৪ জন নারীসহ ৬৩ জনকে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা যৌনতা, চুরি এবং অনৈতিক সম্পর্কসহ নানা অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ছিল।
দেশটির একটি ক্রীড়া স্টেডিয়ামে তাদের বেত্রাঘাত করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের পৃথক আরো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ব্যভিচারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত একজন পুরুষ এবং একজন নারীকে গত বুধবার উত্তর পাঞ্জশের প্রদেশে বেত্রাঘাত করা হয়েছিল।
২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে তালেবান কর্তৃপক্ষ ইসলামিক আইন পুনরায় চালু করেছে। সেখানে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড এবং শারীরিক শাস্তি, বিশেষ করে চাবুক মারার নিয়ম চালু রয়েছে। অপরাধীকে চুরি, ব্যভিচার এবং মদ সেবনসহ বিভিন্ন অপরাধের জন্য এ ধরনের শাস্তি দেওয়া হয়।
শাস্তিগুলো ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে তালেবানের আগের শাসনামলের মতোই। এই বছরের শুরুর দিকে তালেবানরা উত্তর জাওজান প্রদেশের একটি স্টেডিয়ামে হাজার হাজার লোকের সামনে হত্যার দায়ে দোষী এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছিল।
নিহত ব্যক্তির ভাই রাইফেল দিয়ে ওই আসামিকে পাঁচবার গুলি করেছিল। তালেবানরা ক্ষমতা দখল করার পর থেকে এটি ছিল জনসম্মুখে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পঞ্চম ঘটনা। সূত্র : এপি
এবি/এইচএন