আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানে আফগান সীমান্ত লাগোয়া এক এলাকায় সশস্ত্র জঙ্গিদের সঙ্গে দুইদিন ব্যাপী বন্দুকযুদ্ধে দেশটির ৫ সেনাসহ ২৩ জঙ্গি নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২৭ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।
দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রোববার (২৬ মে) উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশোয়ারের উপকণ্ঠে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার সময় সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তাসহ ৫ সৈন্যের প্রাণহানি ঘটেছে।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আফগান সীমান্তের কাছের ৩টি অভিযান চালানো হয়েছে। গত ২ দিনের অভিযানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৩ জঙ্গি নিহত হয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল জঙ্গিরা। অভিযানে খাইবার জেলায় ৫ সেনা সদস্য নিহত হন। তবে জঙ্গিরা কোন গোষ্ঠীর সদস্য তা শনাক্ত করা যায়নি।
প্রসঙ্গত, আফগান সীমান্ত বরাবর উপজাতীয় অঞ্চলগুলো দীর্ঘ দিন ধরে ইসলামপন্থী ও সাম্প্রদায়িক জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে। তারা দেশটিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত আরেক জঙ্গিগোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) ছত্রছায়ায় সক্রিয় রয়েছে।
দেশের ক্ষমতাসীন সরকারকে হটিয়ে কঠোর ইসলামি শরিয়াহ আইন চালু করতে চায় টিটিপি। এ লক্ষ্যে পাকিস্তানের অস্থিতিশীল বিভিন্ন প্রান্তে প্রায়ই সরকারি বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে আসছে গোষ্ঠীটি।
ইসলামাবাদ বলছে, টিটিপি নেতারা প্রতিবেশি আফগানিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা পাকিস্তানের ভেতরে হামলা চালানোর জন্য ইসলামি জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প পরিচালনা করছে।
এর আগে কাবুলের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার বলেছিল, পাকিস্তানে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ইসলামাবাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। এতে আফগানিস্তানের সংশ্লিষ্টতা নেই।
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠেছে। ইসলামাবাদ বলছে, পাকিস্তানকে লক্ষ্যবস্তু বানানো জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কাবুল যথেষ্ঠ পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
গত রোববার তারা বলেছে, আত্মঘাতী বোমা চালিয়ে ৫ চীনা প্রকৌশলীকে হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কমপক্ষে ১১ জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা আফগানিস্তানে বসে চীনা প্রকৌশলীদের হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। যদিও পাকিস্তানের তোলা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে কাবুল। সূত্র: রয়টার্স।
এবি/এইচএন