আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আগামীকাল থেকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচন শুরু হচ্ছে। ৫৪৩টি আসনের লোকসভা নির্বাচনে ৭ দফায় ভোটগ্রহণ হবে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি এবং কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) প্রথম দফায় দেশটির ১৭টি রাজ্য ও ৪ টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ১০২টি আসনে ভোট হবে। ৩ রাজ্যে ৭ দফায় ভোট নেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম পশ্চিমবঙ্গ। এছাড়া উত্তরপ্রদেশ ও বিহারেও ৭ দফায় ভোটগ্রহণ হবে।
এ দফায় পশ্চিমবঙ্গের উত্তর অঞ্চলের ৩ আসন- কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে ভোট হবে। এছাড়া দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর ৩৯ আসনের সব কটিতে ভোট অনুষ্ঠিত হয়ে যাবে। এ দিন রাজস্থানে ২৫ আসনের মধ্যে ১২টি আসনে নির্বাচন হবে।
কাল উত্তর প্রদেশের ৮০টি আসনের মধ্যে ৮টিতে ও পূর্ব ভারতের অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ভোট হবে।
তবে উত্তর-পূর্ব ভারতের সংঘাত বিধ্বস্ত মণিপুর রাজ্যকে ভাগ করে ২ দফায় ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
এ দিন আউটার মণিপুরের চূড়াচাঁদপুর ও চান্দেল জেলার ১৫টি বিধানসভা আসনে ভোট হবে। বাকি ১৩টিতে দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৬ এপ্রিল।
শুক্রবার আসামের ৫ আসন- ডিব্রুগড়, জোড়হাট, কাজিরাঙ্গা, লখিমপুর ও সনিৎপুরে ভোট হবে। একই দিনে পূর্ব ভারতের বিহারের ৪টি আসন- ছত্তিশগড়ের মাওবাদী-অধ্যুষিত অঞ্চলের বস্তার আসন, সংলগ্ন মহারাষ্ট্রের আরও ২টি মাওবাদী-অধ্যুষিত অঞ্চল চন্দ্রপুর ও গড়চিরোলি ছাড়া মহারাষ্ট্রেরই ভান্ডারা, রামটেক ও নাগপুরে ভোট হবে।
এবার ৫৪৩ আসনের লোকসভায় বিজেপি ৩৭০ আসনের টার্গেট নিয়েছে। অপরদিকে গেরুয়া শিবির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের লক্ষ্য ৪০০ আসন। গতবার লোকসভায় বিজেপি-এনডিএ জোট মিলে ৩০৩ আসন পায়, যেখানে তাদের লক্ষ্য ছিল ৩০০ আসন।
২০১৯ সালের চেয়ে এবার ১০০ আসন বেশি চাইছে জোট। এবারে এ জোটের বড় চ্যালেঞ্জ কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ২৪টি দলের বিরোধী জোট-ইন্ডিয়া।
জনমত জরিপ বলছে, বিজেপি ও তার মিত্ররা তৃতীয়বারের মতো এ নির্বাচনে জয়ী হবে। জরিপ অনুযায়ী, ন্যূনতম ৩৭৩টি আসনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের জয়ের আভাস দিয়েছে দেশটির টেলিভিশন চ্যানেল এবিপি নিউজ।
পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে ৪২টির মধ্যে ২১টি আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের ইঙ্গিত দিয়েছে টিভি-নাইনের জরিপ।
ভারতজুড়ে বিভিন্ন স্থানে ভোটগ্রহণ চলবে ৭টি তারিখে। প্রথম দফায় ১৯ এপ্রিল, এরপর ২৬ এপ্রিল, ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে’র পর ১ জুন শেষ দফায় ভোট হবে। ৪ জুন ফল ঘোষণা হবে।
উল্লেখ্য, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ভারতের জনসংখ্যা। সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ হয়েছে দেশটির নির্বাচনের সময়ও। যেমন- ৮০’র দশকে ভোটের সময় ছিল মাত্র ৪ দিন, তা ২০১৯ সালে দাঁড়ায় ৩৯ দিনে। ২০২৪ সালে এসে ভোট হচ্ছে পুরো ৪৪ দিনব্যাপী।
এবি/এইচএন