আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রতিদ্বন্দ্বী মাদকচক্রের সদস্য ভেবে পাঁচ পর্যটককে অপহরণের পর হত্যা করেছে ইকুয়েডরের একদল গ্যাংস্টার। নিহতরা সবাই দক্ষিণ আমেরিকান দেশটিরই নাগরিক।
স্থানীয় পুলিশ কমান্ডার রিচার্ড ভাকা জানিয়েছেন, গত শুক্রবার প্রায় ২০ জন হামলাকারী দক্ষিণ ইকুয়েডরের সমুদ্র তীরবর্তী শহর আয়াম্পের একটি হোটেলে ঢুকে ছয়জন প্রাপ্তবয়স্ক ও একজন শিশুকে অপহরণ করে। অপহৃত পর্যটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই একটি রাস্তায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাঁচ প্রাপ্তবয়স্কের মরদেহ পাওয়া যায়।
ভাকা বলেন, আক্রমণকারীরা স্পষ্টতই তাদের একটি প্রতিদ্বন্দ্বী মাদকচক্রের সদস্য ভেবে ভুল করেছিল। প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া জানিয়েছেন, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি হামলাকারীদের খোঁজ করছে পুলিশ।
একসময় লাতিন আমেরিকার ‘শান্তির ঘাঁটি’ হিসেবে বিবেচিত হতো ইকুয়েডর। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারী চক্রগুলোর দ্রুত বিস্তারের কারণে গভীর সংকটে পড়েছে দেশটি। অপরাধীরা যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে মাদক পাচারের জন্য ইকুয়েডরের বন্দরগুলো ব্যবহার করে থাকে।
গত জানুয়ারিতে একজন কুখ্যাত গ্যাং লিডার কারাগার থেকে পালানোর পর ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে দেশটিতে। এর জেরে দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি এবং গ্যাংগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট নোবোয়া। তারপর থেকে সামরিক বাহিনী ইকুয়েডরের রাস্তাগুলোতে টহল শুরু করে এবং দেশটির কারাগারগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইকুয়েডরে গ্যাং দাঙ্গায় প্রায় ৪৬০ জন নিহত হয়েছেন। সূত্র: এএফপি
এবি/এইচএন