আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: ওপেক প্লাসের সদস্য দেশগুলোর জ্বালানি তেল উত্তোলন কমানোর পদক্ষেপে চলতি বছর বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে উঠেছে সর্বোচ্চ পর্যায়ে।
ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) অপরিশোধিত তেলের দাম শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ কমে যায়। প্রতি ব্যারেল তেলের দাম স্থির হয় ৮৮ ডলারে। তবে যোগানের বিপরীতে চাহিদা বাড়ায় বর্তমানে তেলের দাম চলতি বছরের সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।
সোমবার আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সৌদি আরব ও রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের সরবরাহ কমানোর সিদ্ধান্তে গত সপ্তাহে বিগত ১০ মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেলের দাম ৯০ ডলারের ওপরে উঠে যায়।
উল্লেখ্য, বিশ্বের শীর্ষ তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো ‘দি অরগানাইজেশন অব দি পেট্রোলিয়াম কান্ট্রিস’ বা ওপেক নামে পরিচিত। আবার ওপেকের বাইরে অন্যান্য তেল উৎপাদনকারী দেশ ও ওপেকের সদস্যদের একত্রে ওপেক প্লাস নামে অভিহিত করা হয়।
গত জুন থেকে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে। একদিকে ওপেক প্লাসের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর তেলের সরবরাহ কম রাখা হবে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে শীর্ষ আমদানিকারক চীনে বাড়ছে অপরিশোধিত তেলের চাহিদা। তাছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অসহনীয় অর্থনৈতিক মন্দায় প্রবেশের আশঙ্কাও কমে আসছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এইসবের প্রভাব পড়ছে জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক বাজারে।
ফলে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রায় ৯০ ডলারে উঠে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের ভান্ডা ইনসাইটের প্রতিষ্ঠাতা বন্দনা হরি।
এই সপ্তাহে ওপেকের সদস্য সৌদি আরব ও রাশিয়া জানিয়েছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ সম্মিলিতভাবে দৈনিক ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উত্তোলন কমানো হবে। যার প্রভাব পড়েছে বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের বাজারে।
এদিকে এই মাসে রাশিয়ার জ্বালানি তেল রফতানি কমানোর সিদ্ধান্তে বেড়েছে ডিজেলের দাম। এতে ইউরোপের বাজারে জানুয়ারির পর প্রথমবারের মতো প্রতি টন ডিজেলের দাম ১ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ।
এবি/ওশিন