আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের একটি নৌঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন পরমাণু শক্তিধর এই দেশটির আধাসামরিক সৈন্য এবং অন্য পাঁচজন হামলাকারী সন্ত্রাসী।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানের নৌবাহিনীর একটি বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে অন্তত একজন আধাসামরিক সৈন্যকে হত্যা করেছে। অন্যদিকে নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা গুলি চালিয়ে পাঁচ হামলাকারীকে হত্যা করেছে বলে কর্মকর্তারা মঙ্গলবার বলেছেন।
সোমবার দক্ষিণ-পশ্চিম পাকিস্তানের তুরবত ঘাঁটিতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। গত সপ্তাহে জাতিগত বেলুচ সন্ত্রাসীদের হামলার পর সামরিক স্থাপনায় এটি তাদের দ্বিতীয় হামলা।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা বিশাল ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছি।’
পাকিস্তান নৌবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, ঘাঁটিতে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় পাঁচজন হামলাকারীকে হত্যা করা হয়েছে। অন্যদিকে সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসীদের হামলায় একজন আধাসামরিক সৈন্যও নিহত হয়েছেন।
পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী রয়েছে। এসব গোষ্ঠীর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। এক বিবৃতিতে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে বিএলএ।
এছাড়া বিএলএ এর আগে এই অঞ্চলে এবং অন্যত্র পাকিস্তানি ও চীনা স্বার্থের বিরুদ্ধেও হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল।
রয়টার্স বলছে, এক দশক ধরে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহ সত্ত্বেও খনিজ সমৃদ্ধ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে চীন। আফগানিস্তান ও ইরানের সীমান্তবর্তী এই প্রদেশে গোয়াদর বন্দরের উন্নয়নসহ নানা কর্মকাণ্ড পরিচালনাও করছে বেইজিং।
এবি/এইচএন