আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলি বাহিনী গাজার আল-শিফা হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে। সেখানে ট্যাংক এবং ব্যাপক গুলির খবর পাওয়া গেছে।
ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘আইডিএফ হাসপাতালের কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। আইডিএফ এর অভিযোগ, হাসপাতালের ভিতরে জ্যেষ্ঠ হামাস সন্ত্রাসীরা আছে এবং তারা হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই জন্য তারা এই অভিযান শুরু করেছে।
স্থানীয় সময় রাতে এই অভিযান শুরু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে হাসপাতালের ভিতরে আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয় এক ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জানিয়েছে, ‘ট্যাংকগুলো আমাদের ঘিরে রেখেছে। আমরা তাঁবুর ভিতরে লুকিয়ে আছি। আমরা হাসপাতাল চত্বরের আশেপাশে ট্যাংক এর শব্দ শুনতে পাচ্ছি। গোলাগুলিও হচ্ছে।’
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ফুটেজে হাসপাতালের চারপাশে ব্যাপক গুলির শব্দ শোনা যায়। তবে ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা যায়নি। হাসপাতালের ভিতর থেকে সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো একটি ভয়েস বার্তায় মুহাম্মদ আল-সায়িদ বলেছেন, ‘এখানে হাসপাতাল এলাকার মধ্যে মৃত ও আহত লোকেরা আছে। ইসরায়েলি সেনারা কিছু যুবককে আটক করেছে। এখানকার পরিস্থিতি বিপর্যয়কর।’
আইডিএফ আল-শিফা হাসপাতালে নতুন অভিযান শুরুর আগে কোনো আগাম সংকেত দেয়নি। অভিযান শুরুর প্রথম ঘন্টায় পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায় আইডিএফ প্রধান মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডএম ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ‘ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে অবিলম্বে এই পদক্ষেপ নিয়েছে।’
তিনি আরো বলেছিলেন, ‘অভিযানের সময় হাসপাতালটি তাদের কাজ চালিয়ে যেতে পারবে এবং রোগী ও কর্মীদের সরিয়ে নিতে হবে না। এদিকে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই অভিযান আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। শতাধিক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি সেখানে আশ্রয় নিচ্ছেন এই অবস্থায় ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালিয়েছে।’
সংঘাতের আগে আল-শিফা হাসপাতাল ছিল গাজার সবচেয়ে বড় চিকিৎসা কেন্দ্র। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের বন্দুকধারীরা হামলা চালিয়ে প্রায় এক হাজার ২০০ লোককে হত্যা করে এবং ২৫৩ জনকে জিম্মি করে। এর পরেই ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজায় অভিযান শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ৩১ হাজহার ৩০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। সূত্র: বিবিসি
এবি/এইচএন