সংগৃহিত
আন্তর্জাতিক

আশ্রয়প্রার্থীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে জার্মানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সংকটের কারণে ইউরোপে শরণার্থী, আশ্রয়প্রার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বহিরাগতদের সেই স্রোতকে কেন্দ্র করে জার্মানিতে প্রবল রাজনৈতিক বিবাদ শুরু হয়েছে।

সম্প্রতি জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ও ১৬টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা অভিবাসন নীতির বিভিন্ন দিক ও সমস্যা নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন। শলৎস বলেছেন, বেশ কিছু মৌলিক পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু হলেও এখনই তার সুফল দেখা যাচ্ছে না। যেমন- আশ্রয়প্রার্থীদের নগদ অর্থ সহায়তার বদলে ডেবিট কার্ড দেওয়ার পদক্ষেপ কার্যকর করতে সময় লাগছে।

অনেক আশ্রয়প্রার্থী জার্মান সরকারের কাছ থেকে পাওয়া নগদ অর্থ নিজেদের দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।এ নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে দেশটিতে।

এছাড়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশে শরণার্থীদের আবেদন পরীক্ষা ব্যবস্থার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আগামী ২০ জুনের শীর্ষ বৈঠকের আগে সেই উদ্যোগের প্রাথমিক ফলাফলের জন্য চাপ দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রীরা।

প্রধান বিরোধী ইউনিয়ন শিবির আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যার ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে। আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা কমাতে ইউনিয়ন শিবিরের মুখ্যমন্ত্রীরা আরও কিছু দেশের সঙ্গে অভিবাসন চুক্তি স্বাক্ষরের জন্যেও সরকারের ওপর চাপ দিচ্ছেন। আবেদন নাকচ হলে সেখান থেকে আশ্রয়প্রার্থীদের ফেরত পাঠানো সহজ হবে বলে মনে করছেন তারা।

২০২৩ সালে জার্মানিতে প্রায় ৩ লাখ ২৯ হাজার বহিরাগত মানুষ রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। ২০২২ সালের তুলনায় সংখ্যাটি প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি। তার ওপর, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে যুদ্ধের কারণে ইউক্রেন থেকে প্রায় ১০ লাখ শরণার্থী জার্মানিতে গেছেন।

বহিরাগতদের এমন ঢল সামলাতে, বিশেষ করে পৌর পর্যায়ে নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাদের বাসস্থান, ভাষা শিক্ষা, শিশু-কিশোরদের জন্য কিন্ডারগার্টেন বা স্কুলের ব্যবস্থা করা অনেক পৌর কর্তৃপক্ষের সাধ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

বাড়তি আর্থিক ব্যয়ভার নিয়েও সমস্যা দূর হয়নি। নভেম্বরের বৈঠকে পৌরসভাগুলোকে প্রত্যেক আশ্রয়প্রার্থীর জন্য বছরে ৭ হাজার ৫০০ ইউরো অনুদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও অনেক শহর ও গ্রাম ঘাটতির অভিযোগ করছে। সূত্র: ডয়েচে ভেলে

এবি/এইচএন

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ট্রয় নগরী ধ্বংসে ‘ইরিস’ নাকি ‘হেলেন’, কে দায়ী?

স্রষ্টা পৃথিবীর বংশগতি রক্ষার জন্য নারী ও পুরুষ প্...

জয়ে ফিরল আর্জেন্টিনা

শেষ মুহূর্তে লাউতারো মার্টিনেজের দুর্দান্ত এক গোলে...

জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে শিল্পকলায় ভাস্কর্য কর্মশালা: পরিচালনায় ভাস্কর পাপিয়া

রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের তত্ত্...

এ আর রহমানের ২৯ বছরের সংসার ভাঙছে

দীর্ঘ ২৯ বছরের সংসার ভাঙছে খ্যাতিমান সঙ্গীতজ্ঞ, অস...

ঝিনাইদহে সুদের টাকা না পেয়ে বাড়ি দখলের অভিযোগ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সুদের টাকা না পেয়ে এক দিনমজুরে...

নেতানিয়াহুকে গ্রেফতারের নির্দেশ আইসিসির

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও দেশ...

নতুন সিইসি নাসির উদ্দীনের নাম ছিল বিএনপির তালিকায়

অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীন প্রধান নির্ব...

আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ তিশার

শুটিং সেটে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ তুলেছেন...

প্রবাসীদের পেটাতে বাউন্সার ভাড়া করেছে ইএসকেএল

নিরাপত্তাকর্মী থাকা সত্ত্বেও প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য বাউন্সার ভাড়া করেছে মা...

ট্রয় নগরী ধ্বংসে ‘ইরিস’ নাকি ‘হেলেন’, কে দায়ী?

স্রষ্টা পৃথিবীর বংশগতি রক্ষার জন্য নারী ও পুরুষ প্...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা