আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গর্ভপাতকে সাংবিধানিক অধিকার করার দাবিতে বিক্ষোভ। গত ফেব্রুয়ারিতে ফ্রান্সের সিনেটের বাহিরে
গর্ভধারণ ও গর্ভপাত নারী অধিকার হিসেবে দেশে দেশে স্বীকৃত। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোনও দেশে এটার সাংবিধানিক স্বীকৃতি মিলেনি।
ফ্রান্স বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে এ স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। সব কিছু ঠিক থাকলে স্থানীয় সময় সোমবার (৪ মার্চ) এ ঘোষণা আসবে। খবর বিবিবির
ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাঁখো ভার্সাই প্রসাদে সোমবার পার্লামেন্টের উচ্চ ও নিম্নকক্ষের অধিবেশন ডেকেছেন। এতে গর্ভপাতকে নারীর সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ভোটাভুটি হবে। সংস্কার করা হবে সংবিধান।
ফ্রান্সের সংবিধানের কোনো সংস্কার বা পরিবর্তনের জন্য উভয় কক্ষের আইনপ্রণেতাদের অন্তত তিন-পঞ্চমাংশ ভোট প্রয়োজন হয়। মাঁখোর উত্থাপিত প্রস্তাবটা গৃহীত হলে দেশটির বর্তমান সংবিধান ২৫ বারের মতো সংস্কার করা হবে। ১৯৫৮ সালে গৃহীত বর্তমান সংবিধান ২০০৮ সালের পর আর কখনো সংস্কার করা হয়নি।
সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, ফ্রান্সের প্রায় ৮৫ শতাংশ জনগণ এই সংশোধনীকে সমর্থন করে। পার্লামেন্টের ডানপন্থীরা অবশ্য এর বিরোধিতা করেছেন। কিন্তু তা কাজে হবে না। কারণ মাখোঁর পার্টি উভয় কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ।
ফ্রান্সের আইনের সাংবিধানিকতা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয় ফ্রান্সের সাংবিধানিক কাউন্সিল। কাউন্সিলটি ২০০১ সালের একটি রায়ে ১৭৮৯ সালের মানুষের অধিকারের ঘোষণাপত্রের স্বাধীনতার ধারণার ওপর ভিত্তি করে গর্ভপাতেরও অনুমোদন দিয়েছে। তাছাড়া এমনিতেই গর্ভপাতকে সাংবিধানিক অধিকার বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞদের একটা অংশ।
এবি/এইচএন