আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। দেশটিতে পৃথক দুটি বিস্ফোরণের ঘটনায় ২৭ জন নিহত হয়েছেন। এতে আরও ৪৭ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পৃথক দুটি বিস্ফোরণে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। দেশটিতে এরই মধ্যে শেষ হয়েছে প্রার্থীদের প্রচারণা। কিন্তু কমছে না উত্তেজনা। বেশ কিছু সহিংসতার ঘটনায় ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বুধবার বেলোচিস্তানের কিল্লা সাইফুল্লাহ নামক এলাকায় রাজনৈতিক দল জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম ফজল (জেইউআই-এফ) কার্যালয়ের বাইরে একটি বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন।
বেলোচিস্তানের প্রাদেশিক তথ্যমন্ত্রী জান আচাকজাই এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, দ্বিতীয় বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি কমপক্ষে ১৭ জন আহত হয়েছে।
জান আচাকজাই জানিয়েছেন, হামলায় অক্ষত রয়েছেন জেইউআই-এফ নেতা মাওলানা আবদুল ওয়াসায়। তিনি পিবি-৩ থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রাদেশিক তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সন্ত্রাসীরা তাদের উদ্দেশ্যে সফল হবে না এবং সন্ত্রাস নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলতে থাকবে।
এর আগে দিনের অপর ঘটনায় বেলোচিস্তানের রাজধানী কোয়েটা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে পিশিন অঞ্চলে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অন্তত ১৫ জন নিহত ও ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়। পিশিনের এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর অফিসের বাইরে ওই বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।
এদিকে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খান নির্বাচনকে সামনে রেখে কারাগার থেকে ভোটারদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন। নিজেদের অধিকার রক্ষা ও পোলিং স্টেশন পাহারা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
অপরদিকে সর্বশেষ বক্তব্যে পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী বিলওয়াল ভুট্টো ভোট জালিয়াতির বিরুদ্ধেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
নিজ আসনে দেওয়া বক্তব্যে নওয়াজ শরিফকে ইঙ্গিত করে বিলাওয়াল বলেন, চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় এলে তার সময়কাল হবে সংক্ষিপ্ত।
পিপলস পার্টির এই নেতা স্পষ্টভাবে বলেন, শরিফ যদি চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হন তাহলে ছয় মাসের মধ্যে তাকে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হবে। তৈরি হবে অস্থিতিশীলতা। সূত্র: জিও নিউজ, এএফপি
এবি/এইচএন