রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
সংগৃহিত
আন্তর্জাতিক প্রকাশিত ২৪ জানুয়ারী ২০২৪ ১৩:২৬
সর্বশেষ আপডেট ২৪ জানুয়ারী ২০২৪ ১৩:২৬
ডব্লিউএইচওর সতর্কবার্তা

ইউরোপে হাম বেড়েছে ৪৫ গুণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ২০২৩ সালে ইউরোপে হামের মারাত্মক বৃদ্ধি ঘটেছে। মাত্র এক বছরে ইউরোপজুড়ে এই রোগটির প্রাদুর্ভাব বেড়েছে ৪৫ গুণ।

জাতিসংঘের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হিসেব অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ইউরোপে হামে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৪ হাজার ২০০ জন। তার আগের বছর ২০২২ সালে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন মাত্র ৯৪১ জন। এই আক্রান্তদের অধিকাংশেরই বয়স ১৬ বছর বা তার চেয়ে কম।

আকস্মিক বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ডব্লিউএইচও’র ব্যাখ্যা, করোনা মহামারির সময় হামের টিকাপ্রদানের ব্যাপারটিতে গুরুত্ব কম দেওয়া হয়েছিল ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। ফলে অনেক শিশু হামের টিকা পায়নি। এটিই রোগটির এভাবে ছড়িয়ে পড়ার প্রধান কারণ।

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস শহরটিতে হামের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে এবং অস্বাভাবিক দ্রুতগতিতে তা আশপাশের শহর ও গ্রামগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে।

দেশটির প্রধান সরকারি স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) কর্মকর্তারা বিবিসিকে বলেছেন, সামনের দিনগুলোতে যুক্তরাজ্যে ১৬ বছর বা তার চেয়ে কম বয়সী ৩৪ লাখেরও বেশি শিশু-কিশোর-কিশোরী হামে আক্রান্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

ইতোমধ্যে অবশ্য লাখ লাখ অভিভাবক তাদের শিশুদের হাম, মাম্পস এবং রুবেলার টিকা দেওয়ার জন্য হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছেন। হামের টিকার ডোজ দু’টি। প্রথম ডোজ দিতে হয় শিশুর এক বছর বয়স হলে। শিশুর বয়স ৩ বছর চার মাসে পৌঁছালে দিতে হয় দ্বিতীয় ডোজ।

বর্তমানে যে টিকা বাজারে প্রচলিত রয়েছে, তা হাম প্রতিরোধে ব্যাপক কার্যকর। কিন্তু যুক্তরাজ্যের অভিভাবকদের মধ্যে এ সম্পর্কিত সচেতনতা কম। এনএইচএসের পরিসংখ্যান বলছে, সদ্য স্কুলে ভর্তি শিশুদের মধ্যে ৮০ শতাংশ এই টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপ শাখার পরিচালক ড. হ্যান্স ক্লাগ বিবিসিকে বলেন, ‘গত বছর ইউরোপের বিভিন্ন দেশে হামে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ গুন বেড়েছে, প্রায় ২১ হাজার রোগী চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি খুবই উদ্বেগজনক, কারণ এর আগে কখনও এই অঞ্চলে হামের এত বেশি প্রাদুর্ভাব পরিলক্ষিত হয়নি।’

শিশুদের হামের টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করতে অভিভাবকদের তাগিদ দিয়ে এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, ‘ভয়াবহ এই রোগটি থেকে শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার একমাত্র উপায় টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করা।’

হাম মূলত একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ। এই রোগে আক্রান্ত হলে প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যাপক জ্বর হয় এবং শরীরে ফুস্কুড়ি ওঠে। সাধারণত ১০ দিনের মধ্যেই রোগী সুস্থ হয়ে ওঠে তবে অনেক সময় হামে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে নিউমোনিয়া, মেনিনজাইটিস, খিঁচুনির মতো উপসর্গও দেখা যায়। সূত্র : বিবিসি

এবি/এইচএন

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

বিএনপি ক্ষমতায় এলে মন্দিরে হামলারও বিচার হবে: মোশারফ হোসেন

বগুড়া জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও জাত...

কটিয়াদীতে সুপেয় পানির তীব্র সংকট, টিউবওয়েলে উঠছে না পানি

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলাতে হস্তচালিত টিউবওয়েল...

বগুড়ায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতাসহ আহত চার

বগুড়ার রেলওয়ে এলাকায় ছাত্রদল নেতার ওপর সন্ত্রাসী হ...

নীলফামারীতে ফেন্সিডিল ও মদসহ স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার

নীলফামারীতে ফেন্সিডিল ও বিদেশী মদসহ মাদক ব্যবসায়ী...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা