আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অযোধ্যায় বিতর্কিত রামমন্দির উদ্বোধনের দিনে ১১ দিনের ‘কঠিন ব্রত’ ভাঙলেন। সোমবার রামলালার ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ হওয়ার পর গ্লাস থেকে চামচে করে তরল এক বস্তু খাইয়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্রত ভাঙা হয়।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ১১টার পর রামমন্দির চত্বরে আসেন নরেন্দ্র মোদী। হাতে পুজার ডালা নিয়ে ধীরে ধীরে গর্ভগৃহের দিকে এগিয়ে যেতে দেখা যায় তাকে। তারপর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে পূজায় বসেন তিনি। রামমন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার বিগ্রহের চোখের বাঁধন খুলে দেওয়া হয়েছে। হাতে পদ্মফুল নিয়ে পুজা করেন প্রধানমন্ত্রী।
জানা গেছে, রামমন্দির চত্বরেই ভক্ত ও আমন্ত্রিতদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন মোদী। দুপুর দেড়টা নাগাদ তিনি সভাস্থলে পৌঁছান। ২টা পর্যন্ত সভা চলার কথা। জনগণের উদ্দেশে সেই সভা থেকেই প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবেন।
এরপর অযোধ্যার গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান কুবের টিলায় যাওয়ার কথা মোদীর। হিন্দু ধর্মে এই কুবের টিলার গুরুত্ব অপরিসীম।
অযোধ্যার ইতিহাস বলে, এখানে ধনসম্পদের দেবতা কুবের পায়ের ধুলো দিয়েছিলেন। সরযূ নদীর তীরে রামের জন্মভূমির অদূরেই তিনি স্থাপন করেছিলেন এক শিবলিঙ্গ। শিবপুজাও করেছিলেন। সোমবার দুপুরে ওই পবিত্র কুবের টিলা দর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, রামমন্দিরের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা ও সংকল্প ছাড়া সম্ভব হতো না।
এদিকে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুলিশ ও কমান্ডো বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে সয়লাব পুরো অযোধ্যা। প্রতিটি উঁচু বাড়ির মাথায় বিশেষ রাইফেল নিয়ে পাহারায় রয়েছে স্নাইপার। আকাশে নিরন্তর উড়ছে অত্যাধুনিক নজরদারি ড্রোন। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে রামের জন্মভূমিকে। সূত্র: এনডিটিভি
এবি/এইচএন