আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: ভারতের নয়াদিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাক্ষাৎ হয়েছে।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সম্মেলনের ফাঁকে তাদের আলাপচারিতা হয়। এ সময় শেখ হাসিনার সঙ্গে সেলফি তোলেন জো বাইডেন।
দুই নেতার সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং যুক্তরাষ্ট্রর পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।
আলাপচারিতায় দুই নেতাকে হাস্যজ্জ্বল দেখা যায়। এক পর্যায়ে শেখ হাসিনা এবং সায়মা ওয়াজেদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে সেলফি তোলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে একথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে শনিবার সকালে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সম্মেলনস্থলে পৌঁছালে তাকে অভ্যর্থনা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
কনভেনশন সেন্টার ‘ভারত মণ্ডপম’-এ সম্মেলনের প্রথম পর্বের আলোচনা ‘ওয়ান আর্থ’-এ অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, পারস্পরিক সহযোগিতাই কেবল মানবসভ্যতা ও পৃথিবীকে রক্ষা করতে পারে। তাই সংকট মোকাবিলায় বৈশ্বিক সংহতি ও সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।
বক্তব্যে মানবতার সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন রোধ ও দারিদ্র দূরীকরণ প্রভৃতি বিষয়ে গুরুত্ব দেন তিনি। বলেন, আমাদের এমন একটি বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে যার মধ্যদিয়ে দারিদ্র্য নিরসন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব রোধ ও সংঘাত মোকাবিলা করার পথ সুগম হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, এই সম্মেলন এমন একটা সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন পৃথিবী জলবায়ু পরিবর্তন, করোনা মহামারি এবং নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার মতো বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে।
তিনি বলেন, ‘এই চ্যালেঞ্জগুলোই মানবজাতির শান্তি, উন্নয়ন ও অভিন্ন ভবিষ্যতের জন্য একক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ অপরিহার্য করে তোলে।’
সম্মেলনের জন্য বিশেষভাবে সাজানো কনভেনশন সেন্টার ‘ভারত মণ্ডপম’-এ উপস্থিত হন বিশ্বনেতারা। প্রথম পর্যায়ে আলোচনার বিষয় ‘ওয়ান আর্থ’। দ্বিতীয় পর্যায়ে আলোচনার বিষয় হবে ‘ওয়ান ফ্যামিলি’। এর মধ্যে থাকছে মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা। এ ছাড়া নৈশভোজের ব্যবস্থা থাকছে রাত ৮টায়।
একঝাঁক বিশ্বনেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এ বছর অর্থনৈতিকভাবে অগ্রসরমান দেশগুলোর জোট জি-২০-এর শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছে ভারত সরকার। এই সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দিল্লির মাটিতে পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। উষ্ণ অভ্যর্থনায় তাকে বরণ করে নেয়া হয়।
পরে সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন হাসিনা-মোদি। প্রতিবেশী দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের এই বৈঠকের দিকেই আগ্রহ ছিল সবার। দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত দুই বন্ধুরাষ্ট্রের এমন বৈঠক পেয়েছে কূটনৈতিক অনন্যমাত্রা।
এবি/ওশিন