আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার একটি আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছেন।
রোববার (২৭ আগস্ট) সকালের দিকে জেলার দত্তপুকুর এলাকায় ওই বিস্ফোরণে আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
ভারতের ফায়ার ব্রিগেড কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দেশটির ইংরেজি দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ফায়ার ব্রিগেড কর্মকর্তারা বলেছেন, বিস্ফোরণ এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, ওই এলাকার কয়েকটি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন, দত্তপুকুরের নীলগঞ্জ এলাকায় সকাল ১০টা ৪০মিনিটের দিকে একটি দোতলা বাড়ির ভেতরে বিস্ফোরণ ঘটেছে।
বাড়িটিতে একটি আতশবাজির অবৈধ কারখানা ছিল। সেখানেই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের খাদ্যমন্ত্রী ও দত্তপুকুর এলাকার বিধায়ক রথীন ঘোষ বলেন, বিস্ফোরণের এই ঘটনায় সাত বা আটজন মারা গেছেন এবং ছয়জন আহত হয়েছেন বলে পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে জানিয়েছেন।
রথীন ঘোষ বলেন, জেলার পুলিশ কর্মকর্তারা আমাকে বলেছেন, সাত বা আটজন মারা গেছেন এবং পাঁচ থেকে ছয়জন আহত হয়েছেন। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করব। যে ভবনে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেখানে আতশবাজি মজুত করা হয়েছিল।
এখানে আতশবাজি তৈরি করা হতো না। এর প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র ছিল নীলগঞ্জের নারায়ণপুর এলাকায়। যা এখান থেকে অনেক দূরে। নারায়ণপুরের সব আতশবাজির কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে একই ধরণের কয়েকটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। চলতি বছরের মে মাসে রাজ্যের মেদিনীপুরের এগ্রা এলাকার একটি আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৯ জন নিহত ও ৭ জন আহত হন। নিহতদের মধ্যে দুজন নারী ছিলেন।
এছাড়া একই মাসে রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার একটি আবাসিক এলাকায় অবৈধ আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে কমপক্ষে তিনজনের প্রাণহানি ঘটে।
২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার নোদাখালি এলাকার মোহনপুর গ্রামের একটি আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে অন্তত তিনজন নিহত ও দুজন আহত হন। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।
এবি/ওশিন