আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রবল বৃষ্টি ও খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে ভারতের গুজরাট রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় বজ্রপাতে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। অসময়ের বৃষ্টিতে নাকাল হয়ে পড়েছেন রাজ্যটির সাধারণ মানুষ। এছাড়া রাজ্যটির বেশ কয়েকটি স্থানে ফসলও নষ্ট হয়েছে।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
রাজ্যটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এনডিটিভি বলছে, রোববার (২৬ নভেম্বর) গুজরাটে অমৌসুমি বৃষ্টিপাতের পর রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ফসলের ক্ষতির পাশাপাশি বজ্রপাতে কমপক্ষে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসন ত্রাণ কাজে নিযুক্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বজ্রপাতে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, গুজরাটের বিভিন্ন শহরে খারাপ আবহাওয়া ও বজ্রপাতে বহু মানুষের মৃত্যুর খবরে আমি গভীরভাবে শোকাহত।
এ ট্র্যাজেডিতে যারা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাদের অপূরণীয় ক্ষতির জন্য আমি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। স্থানীয় প্রশাসন ত্রাণ কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমটির জানিয়েছে, গুজরাটে বৃষ্টি, বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির জেরে কমপক্ষে ২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বজ্রপাতে গুজরাটের ১৩ টি জেলায় ঐ ২০ জন মারা যান।
এদিকে আজও গুজরাটের কিছু অংশে দুর্যোগময় আবহাওয়া অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অফিস। যদিও দুর্যোগের মাত্রা কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আগামীকাল পর্যন্ত এ বৃষ্টিপাত চলবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়, উত্তর-পূর্ব আরব সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি চলমান আবহাওয়া গুজরাটের বিস্তীর্ণ অংশে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরির সহায়ক পরিবেশ তৈরি করছে। এর প্রভাবেই গুজরাটে বৃষ্টি হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, আজ থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। কেবল দক্ষিণ গুজরাটের কিছু অংশ ও সৌরাষ্ট্রে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
গুজরাট রাজ্য প্রশাসন জানায়, গতকাল রাজ্যের দাহোড় জেলায় ৩ জন, ভারুচ জেলার ৩ জন এবং তাপী জেলার ২ জন বজ্রপাতে মারা গেছেন। এছাড়া আহমেদাবাদ, আমরেলি, খেড়া, মেহসানার মতো আরও কিছু জেলায় বেশ কয়েক জন মারা গেছেন।
প্রাথমিকভাবে, ২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এবি/এইচএন