আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পশ্চিম ইউরোপ জুড়ে ঘূর্ণিঝড় ‘সিয়ারান’র আঘাতে শুক্রবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ জনে। ঘূণিঝড়ের প্রভাবে প্রবল বর্ষণ এবং রেকর্ড গতির বাতাসের কারণে মানুষের চলাফেরায় ব্যাঘাত হচ্ছে। সূত্র: এএফপি।
ইতালি কর্তৃপক্ষ শুক্রবার জানিয়েছে, দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় টাস্কানি এলাকায় ঝড়ের আঘাতে ছয়জন প্রাণ হারিয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা রেকর্ড বৃষ্টিপাতের কথা উল্লেখ করে জরুরি সতর্ক বার্তা জারি করেছেন।
পর্তুগাল উপকূলে শুক্রবার ঝড়ের আঘাতে আরো তিনজন মারা গেছে। লিসবনের উত্তর দিক দিয়ে ঝড়টি চলে যায়।
ইতালির টাস্কানি জুড়ে বন্যা কবলিত বিভিন্ন টানেলে আটকে থাকা গাড়ির চালকদের সাহায্য করার জন্য উদ্ধার পরিষেবাগুলোকে ডেকে পাঠানো হয়।
ঘূর্ণিঝড় সিয়ারানের আঘাতে ডাচ শহর ভেনরেতে একজন পুরুষ, মাদ্রিদে একজন নারী এবং জার্মানিতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
এনডিস পাওয়ার নেটওয়ার্ক জানায়, গ্রিনিচ মান সময় ১৭০০টা নাগাদ ফ্রান্সের ৩২৫,০০০ পরিবার বিদ্যুতবিহীন অবস্থায় ছিল।
জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা মেটিও ফ্রান্স সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া বার্তায় বলেছে, ব্রিটানির বাতাসের গতি একেবারে ‘অস্বাভাবিক’ ছিল। এরআগে কখনো সেখানে এতো বেশি গতির বাতাস বয়ে যেতে দেখা যায়নি।
এদিকে ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে উপকূল বরাবর ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যাওয়ায় কয়েকশ’ স্কুল বৃহস্পতিবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিজড়ের প্রভাবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিমান, রেল ও ফেরি সার্ভিস বাতিল করা এবং অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘ বিলম্বিত হয়।
খবরে বলা হয়, দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে ইউরোপের প্রধান কেন্দ্র আমস্টাডামের শিফোল বিমানবন্দরে ২শ’টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্পেনের ১১টি বিমানবন্দরে ৮০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল এবং দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রেল সার্ভিস স্থগিত করা হয়েছে।
বেলজিয়ামের এন্টওয়ার্প বন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতির কারণে ব্রাসেলস থেকে ফ্লাইট চলাচল ব্যাহত হয়।
বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাবে উষ্ণতা ক্রমেই বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্ব আরো চরম আবহাওয়াজনিত বিভিন্ন ঘটনার মুখোমুখী হবে।
এবি/এইচএন