অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সামরিক যানবাহনে ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) হামলার দাবি করেছে জেনিন ব্রিগেডস। ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াইরত ফিলিস্তিনি কয়েকটি গ্রুপ মিলে এই জেনিন ব্রিগেডস গঠিত বলে জানা যায়।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
জেনিন ব্রিগেডস এক বিবৃতিতে বলেছে, অত্যন্ত ‘শক্তিশালী একটি বিস্ফোরক ডিভাইস’ আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা হয়েছিল এবং জেনিনের সিলাত আল-হারিথিয়া শহরের প্রবেশপথে ‘শত্রু যানবাহন’-এর ওপর এর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
প্রাথমিকভাবে, এ বিস্ফোরণে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের (পিআইজে) সশস্ত্র শাখা আল-কুদস ব্রিগেডের নাবলুস ব্যাটালিয়নও নাবলুসের পুরাতন শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে লাড়াইয়ের খবর দিয়েছে।
এদিকে, দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলাকে গণহত্যা হিসেবে বর্ণনা করেছে হামাস। রাফাহ অঞ্চলে লাগাতার বিমান হামলা এবং অবকাঠামো ধ্বংসের কঠোর সমালোচনা করেছে স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি। তারা বলছে, এসব হামলা সাধারণ মানুষকে নিশানা করে চালানো হচ্ছে।
এছাড়া, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির বিষয়ে ফ্রান্সের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান রক্ষায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
অন্যদিকে গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি হওয়া ব্যক্তিদের মুক্তি নিয়ে আলোচনার অগ্রগতির কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরায়েল ও হামাস, দুই পক্ষের সঙ্গেই সমঝোতার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি। তবে এই আলোচনার প্রকৃতি, সময়সীমা বা সম্ভাব্য শর্ত সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি।
আমারবাঙলা/জিজি