ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের রাজধানী সান্তো দোমিঙ্গোতে নৈশ ক্লাবের ছাদ ধসে পড়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯৮ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা হতাহতের এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন।
নিহতদের মধ্যে প্রাদেশিক গভর্নর ও মেজর লিগ বেসবলের সাবেক খেলোয়াড় অক্তাভিও দোতেলও ছিলেন। ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে নেওয়ার পথে ৫১ বছর বয়সী দোতেল মারা যান।
নৈশ ক্লাবটির নাম জেট সেট। সোমবার (৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে সেখানে জনপ্রিয় মেরেঙ্গু গায়ক রুবি পেরেজের কনসার্ট চলাকালে ছাদ ধসে পড়ে। ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের মধ্যে তিনিও আছেন বলে জানা গেছে।
ঘটনার সময় কয়েকশ মানুষ নৈশ ক্লাবের ভেতরে ছিলেন। ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিতদের উদ্ধারের চেষ্টায় প্রায় ৪০০ জন উদ্ধারকারী কাজ করছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের (সিওই) পরিচালক হুয়ান ম্যানুয়েল মেন্ডিজ বলেন, ধসে পড়া ছাদের নিচে চাপা পড়া অনেকেই এখনো বেঁচে আছেন বলে আশা করছি।
জেট সেট হলো সান্তো দোমিঙ্গো এলাকার একটি জনপ্রিয় নৈশ ক্লাব। সেখানে নিয়মিত প্রতি সোমবার সন্ধ্যায় ডান্স মিউজিক কনসার্টের আয়োজন করা হয়। ছাদ ধসে পড়ার সময় রাজনীতিবিদ, ক্রীড়াবিদ ও অন্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রেসিডেন্ট লুইস আবিনাদের বলেছেন, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে মন্টে ক্রিস্টি প্রদেশের গভর্নর নেলসি ক্রুজও আছেন। তিনি সাবেক বেসবল খেলোয়াড় নেলসন ক্রুজের বোন।
ক্লাবের ভেতর ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, রুবি পেরেজ গান গাওয়ার সময় মঞ্চের সামনে লোকজন বসে আছেন। কেউ কেউ আবার পেছনে সংগীতের তালে নাচছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরেকটি আলাদা ভিডিও ছড়িয়েছে। ভিডিওটি মোবাইল ফোনে ধারণ করা। এতে মঞ্চের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তিকে ছাদের দিকে দেখিয়ে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘সিলিং থেকে কিছু পড়ে গেছে।’ ওই ব্যক্তি যে দিকটায় দেখাচ্ছিলেন, সেখানে রুবি পেরেজও তাকাচ্ছিলেন বলে মনে হচ্ছে। ৩০ সেকেন্ডের কম সময়ের মধ্যে হট্টগোল শোনা গেল। ওই ভিডিওটি অন্ধকার হয়ে গেল। এক নারীকে চিৎকার করে বলতে শোনা গেল, ‘বাবা, তোমার কী হলো?’
রুবি পেরেজের ব্যান্ডের এক সদস্য স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, রাত একটার দিকে ছাদ ধসে পড়ার সময় ক্লাবটি মানুষে ভর্তি ছিল। এই সংগীতশিল্পী বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম ভূমিকম্প হচ্ছে।’
রুবি পেরেজের মেয়ে বলেছেন, ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের মধ্যে আমার বাবাও আছেন। প্রেসিডেন্ট আবিনাদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
আমারবাঙলা/এমআরইউ