আমার বাঙলা ডেস্ক: আজ বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস। জাতিসংঘ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তত্ত্বাবধানে সদস্য রাষ্ট্রগুলো ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ ও সচেতনতা সৃষ্টির জন্য দিবসটি পালন করে থাকে।
বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পালন করা বিশ্বের স্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত ৮ টা সরকারি দিবস ও কার্যসূচির অন্যতম।
বাকীগুলো হলো- বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস, বিশ্ব রোগপ্রতিরোধক সপ্তাহ, বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস, বিশ্ব তামাকবিরোধী দিবস, বিশ্ব এইডস দিবস, বিশ্ব রক্তদাতা দিবস ও বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস।
প্রাণঘাতী রোগ ম্যালেরিয়াপ্লাজমোডিয়াম নামের প্যারাসাইট বা পরজীবী জীবাণুর কারণে হয়। সংক্রমিত বাহক স্ত্রী অ্যানোফেলিস মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে তার রক্তে ম্যালেরিয়ার জীবাণু প্রবেশ করে।
সাধারণত ফলমূলের রস এ ধরনের মশার প্রধান খাবার হলেও গর্ভকালে বেশি পুষ্টির দরকার হয়। সেক্ষেত্রে অ্যানোফেলিস মশার প্রথম পছন্দ মানবদেহের রক্ত।
প্রতিবছর বিশ্বের ৫০ কোটির বেশি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হন এবং প্রায় ১০-৩০ লাখ মানুষ প্রাণ হারান। মে থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি হয়।
২০১২ সালে ম্যালেরিয়াতে প্রায় ৬ লাখ ২৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এর বহু সংখ্যক আফ্রিকার শিশু ছিল। এশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকা, মধ্য প্রাচ্য ও ইউরোপের কিছু অংশ ম্যালেরিয়ার কবলে পড়েছে।
বিশ্ব ম্যালেরিয়া রিপোর্টের সাম্প্রতিক তথ্যানুযায়ী, ২০১৫ সালে প্রায় ৪ লাখ ২৯ হাজার মানুষের মৃত্যু ও ২১২ মিলিয়ন নতুন করে ম্যালেরিয়াতে আক্রান্ত হয়েছিল।
২০১০-২০১৫ সাল পর্যন্ত ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির হার ২১% এবং মৃত্যুর হার ২৯% কমেছে। উপ-সাহারান আফ্রিকাতে সেই হার ক্রমে ২১% ও ৩১% কমেছে।
জাতীয় ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি সূত্রে জানা গেছে, দেশে ১৩টি জেলায় ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ আছে।
এ প্রসঙ্গে ডা. এম এম আক্তারুজ্জামান বলেন, গত বছরের তুলনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু কমেছে। বান্দরবানে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী রয়েছে, যারা সংক্ষিপ্ত পোশাকে থাকে। তাদের কাউন্সেলিং করলে পাহাড়ের নিচে নেমে যায়।তাই তাদের রোগ হওয়ার আগেই পরীক্ষামূলক ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি, এভাবে আমরা নির্ধারিত সময়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হব।
এবি/এইচএন