ভূবিজ্ঞানীরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণে বিশ্বজুড়ে ‘মহাখরা’ দেখা দিতে পারে।
সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানল তৈরিতে ব্যতিক্রমী খরা মূল ভূমিকা পালন করেছে বলে গবেষকরা মনে করছেন। সেই প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করেই বলা হচ্ছে, এটিই শেষ নয়, বিশ্বে এজাতীয় বেশ কয়টি দাবানল সৃষ্টি হতে পারে।
গবেষকরা বলেন, বিশ্বজুড়ে মহাখরার ঝুঁকি বেড়ে গেছে। তাপমাত্রা যেমন বাড়ছে, তেমনি ভূমির আর্দ্রতাও কমছে।
বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ৩০ বছর ধরে খরার চিহ্ন ছিল সুস্পষ্ট। তারা বলছেন, গত ৩০ বছরে জলবায়ুর এই পরিবর্তনের নেতিবাচক ফলগুলো আগামী এক দশক পর্যন্ত সক্রিয় থেকে যাবে। মহাখরার পাশাপাশি মহাদাবানল সৃষ্টি হবে। এতে সুপেয় পানির সরবরাহই শুধু কমবে না, ব্যাপক ফসলহানিও হবে। ফলে খাদ্যনিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়ে অসংখ্য লোক অনাহারে মারা যাবে। ঘন ঘন দাবানল দেখা দেবে।
বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেছেন সুইজারল্যান্ডের ‘সুইস ফেডারেল ইনস্টিটিউট ফর ফরেস্ট, স্নো অ্যান্ড ল্যান্ডস্কেপ রিসার্চ’ নামক প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা। এই গবেষণায় নেতৃত্ব দেন লিয়ানজি চেন।
প্রসঙ্গত, খরার সংজ্ঞা থাকলেও ‘মহাখরা’র সর্বসম্মত কোনো সংজ্ঞা নেই। তবে শব্দটি সর্বপ্রথম কনি উডহাউস এবং জোনাথন ওভারপেক ১৯৯৮ সালে ‘টু থাউজেন্ড ইয়ারস অব ড্রাট ভেরিয়েবিলিটি ইন দ্য সেন্ট্রাল ইউনাইটেড স্টেটস’ নামক গবেষণাপত্রে প্রথম ব্যবহার করেছিলেন। এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এমন দুটি তীব্র খরার দুটি সময়কালের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যেগুলো বেশ কষ্টদায়ক ও দীর্ঘস্থায়ী খরা হিসেবে বিবেচিত।
সূত্র : খালিজ টাইমস।
আমারবাঙলা/এমআরইউ