চীনের ইউনান প্রদেশের উদ্ভাবক গু ইউপেং। তিনি অভিনব মোটরচালিত বিছানা তৈরি করেছেন। এটি দিয়ে কুনমিং শহরের রাস্তায় ঘুরেও বেড়াচ্ছেন তিনি। পথচারীরা বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখছেন চলন্ত বিছানাকে।
গু ইউপেং কেবল একটি মোটরচালিত বিছানা তৈরি করেননি; তিনি তার এই বিছানায় যোগ করেছেন নতুন নতুন প্রযুক্তি। এটি তার অষ্টম প্রজন্মের বিছানা-গাড়ি, যাতে রয়েছে চারটি ট্র্যাক ও বিশেষ সাসপেনশন। এর ফলে এটি সহজেই রাস্তায় চলতে পারে এবং ব্যবহারকারীকে দেয় আরাম অনুভূতি। রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে পরিচালিত এই বিছানায় তিনি আর তার ছেলে শহরের রাস্তায় ঘুরছেন।
গু ইউপেং জানান, বিছানাটি তৈরি করতে কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে তাকে। বিশেষ করে শক্তিশালী মোটর এবং দৃঢ় কাঠামো তৈরি করাই ছিল সবচেয়ে কঠিন কাজ। কিন্তু তার উদ্ভাবনপ্রিয়তা তাকে এই বাধা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করেছে।
এই বিছানা শুধু ভ্রমণের জন্যই নয়, রয়েছে বহুমুখী ব্যবহার। এটি আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য চমৎকার, যেখানে শুয়ে বা আরামে বসে শহরের রাস্তায় ঘোরা যায়। যাদের চলার সময়ও কাজ করতে হয়, তাদের জন্য এটি চলন্ত অবস্থায় কাজের সুবিধা দেয়।
এ ছাড়া এটি ক্যাম্পিংয়ের সময় খোলা জায়গায় শোবার জন্যও খুব উপযোগী। কৃষকদের জন্য ফসল পরিবহনে সহায়ক, যা তাদের কাজকে সহজ করে তোলে। জরুরি মুহূর্তে এটি উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত হতে পারে, দ্রুত প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করতে সাহায্য করে। বহুমুখী ব্যবহারের এই বিছানাটি আরাম ও কার্যকারিতার মেলবন্ধন ঘটিয়েছে, যা দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম।
২০২২ সালে গু ইউপেং প্রথম এই বিছানা-গাড়ির একটি প্রাথমিক সংস্করণ তৈরি করেন, যেখানে একটি ছোট্ট টেন্টও ছিল। এই উদ্ভাবন করতে গিয়ে গু ইউপেং পরিবেশবান্ধব চিন্তাধারাও ধরে রেখেছেন। তিনি পুরোনো চাকা, তার ও ব্যাটারির মতো যন্ত্রাংশ পুনরায় ব্যবহার করেছেন। ভবিষ্যতে তিনি এতে স্বয়ংক্রিয় চালনার মতো নতুন ফিচার যুক্ত করতে চান।
গু ইউপেং ভ্রমণের ধারাই বদলে দিতে চাইছেন। দীর্ঘ ক্লান্তিকর কোনো ভ্রমণ নয়; তার এ গাড়ি দেবে আপনাকে অন্যরকম করে সবকিছু দেখার অভিজ্ঞতা।
আমারবাঙলা/এমআরইউ