কুমড়া সাধারণত খাওয়া হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের গ্যারি ক্রিস্টেনসেন ভাবলেন অন্যকিছু। সেই ভাবনা থেকে এক হাজার ২১৪ পাউন্ড ওজনের একটি কুমড়াকে নৌকা বানিয়ে ফেললেন।
সেই কুমড়ার নৌকা ভাসিয়ে দিলেন ওয়াশিংটনের নদীতে। ৪৫ দশমিক ৬৭ মাইল পথও পাড়ি দিলেন। নাম ওঠে গেল তার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে।
দেশটির অরেগন অঙ্গরাজ্যের হ্যাপি ভ্যালি এলাকায় বাস করেন গ্যারি ক্রিস্টেনসেন। ২০১১ সাল থেকে তিনি বড় আকারের কুমড়ার চাষাবাদ করে আসছেন। ওয়েস্ট কোস্ট জায়ান্ট পাম্পকিন রেগাটা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে তিনি ২০১৩ সাল থেকে তার খেতের বিশাল আকারের কুমড়া দিয়ে নৌকা বানানোর কাজ শুরু করেন। তিনি টানা চারবার এ প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছেন।
কুমড়াকে কেটে নৌকা বানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ‘পাঙ্কি লোফস্টার’ খেতাবও পেয়েছেন ক্রিস্টেনসেন। আর কুমড়ার প্যাডেলচালিত নৌকা দিয়ে ভ্রমণ করে গড়ে ফেললেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস।
ওয়াশিংটনের ওই নদী থেকে ক্রিস্টেনসেন নৌকা নিয়ে ৪৫ দশমিক ৬৭ মাইল চালিয়ে কলম্বিয়া রিভারে যান। এতে তার মোট সময় লাগে ২৬ ঘণ্টা। এর আগে অন্য একজন কুমড়ার নৌকা ৩৯ মাইল চালিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস গড়েছিলেন।
ক্রিস্টেনসেন বলেন, কুমড়ার নৌকা চালিয়ে নতুন রেকর্ড গড়ার পথ মোটেই মসৃণ ছিল না। প্রচণ্ড বাতাস আর উত্তাল নদীতে এই রেকর্ড গড়তে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হয়েছে তাকে।
ক্রিস্টেনসেন অরেগন পাবলিক ব্রডকাস্টিংকে বলেন, ‘আমাদের ভ্রমণের সময় নদীতে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৩৫ মাইল বেগে বাতাস বইছিল।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ভনিভাইল বাঁধ থেকে যাত্রা শুরু করেছি। মাঝেমধ্যে নদীর ঢেউ কুমড়ার নৌকার ওপর আছড়ে পড়ছিল। আমি নদীর ঢেউয়ের পানিতে ভিজে যাচ্ছিলাম। নৌকায় পানি জমে যাচ্ছিল।’
কারস্টেন তার এই কুমড়ার নৌকায় ভ্রমণের পুরোটাই ভিডিও রেকর্ড করেছেন। পাশাপাশি কুমড়ার নৌকার এক পাশে লিখে রেখেছিলেন, ‘এটি সত্যি।’ এ কথা লিখে রাখার কারণও জানালেন তিনি। বললেন, উৎসুক জনতার অনেকে এই নৌকা নিয়ে নানা প্রশ্ন করতে পারেন। তাদের এত প্রশ্নের জবাব যেন দিতে না হয়, সে জন্য এই লেখা দেওয়া হয়েছে।
আমার বাঙলা/আরইউ