নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের ১১ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রসহ ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দেশের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঢাকা, ফরিদপুর, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রসহ ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরে ২ নম্বর নৌ হুশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র একই দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রসহ দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশের নানা স্থানে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও অনেক জায়গায় ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে, শুক্রবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগামী শনিবার থেকে কমবে বৃষ্টি। রোববারের পর আবহাওয়া শুষ্ক হবে।
উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহসহ অনেক জায়গায় আরও ২/১ দিন বৃষ্টি থাকবে। চট্টগ্রামে ভারি বর্ষণ হচ্ছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে দেশের কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণের আভাস আছে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরের উত্তর অংশে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
বুধবার পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ১৭৩ মিলিমিটার, চুয়াডাঙ্গায় ১৬৮ মিলিমিটার, ভোলায় ১৩৬ মিলিমিটার, রাজশাহীতে ১৬৬ মিলিমিটার, চাঁদপুরে ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া অনেক স্থানে ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এবি/এইচএন