বিশ্বের সবচেয়ে দুর্গম মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকা। এটিও সামুদ্রিক দূষণ থেকে মুক্ত থাকছে না। অ্যান্টার্কটিকায় মাছ ধরার কাজ, বিভিন্ন গবেষণাকেন্দ্র, সামরিক উপস্থিতি, পর্যটনসহ নানা কারণে মানুষের উপস্থিতি রয়েছে। মানুষের মাধ্যমেই নানাভাবে প্লাস্টিক দূষণ হওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের জীববৈচিত্র্য। এ দূষণকে বিজ্ঞানীরা ‘প্লাস্টিস্ফিয়ার’ নামকরণ করেছেন।
পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্লাস্টিক যখন সমুদ্র বা কোনো নতুন বাস্তুতন্ত্রে প্রবেশ করে, তখন প্লাস্টিকের ধ্বংসাবশেষের ওপর জীবাণু বা মাইক্রোবিয়াল তৈরি হয়; যা সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের জন্য গুরুতর হুমকি তৈরি করছে। অ্যান্টার্কটিকাতে এ ধরনের হুমকির নমুনা শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা।
তাদের মতে, প্লাস্টিক একবার সমুদ্রের পানিতে প্রবেশ করলে প্লাস্টিকের ধ্বংসাবশেষে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু তৈরি হয়। প্লাস্টিক শুধু বিভিন্ন অণুজীবকে আশ্রয়ই দেয় না বরং সম্ভাব্য ক্ষতিকারক রোগজীবাণুর বাহক হিসেবে কাজ করে। ভিবরিও এসপিপি, ইকোলাইসহ অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জিন বহনকারী ব্যাকটেরিয়াকে সামুদ্রিক পরিবেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে এসব প্লাস্টিক। জীবাণুর আবাসস্থল হওয়া ছাড়াও এসব প্লাস্টিক ক্ষুদ্র বা মাইক্রোস্কোপিক স্তরে সমুদ্রের জীবনের প্রাকৃতিক ভারসাম্যকে ব্যাহত করছে। মহাসাগরের কার্বন শোষণের পদ্ধতির ওপরে চাপ তৈরি করছে।
বর্তমানে এমন প্লাস্টিস্ফিয়ার সম্পর্কে খুব কম তথ্যই জানেন বিজ্ঞানীরা। অ্যান্টার্কটিকায় কাজ করা সহজ নয়। সেখানে পৌঁছানোই বড় একটি চ্যালেঞ্জ। হিমায়িত তাপমাত্রা, শক্তিশালী বাতাস, হিমবাহসহ কঠিন পরিবেশে কাজ করা কঠিন। আর তাই বিজ্ঞানীরা আপাতত দক্ষিণ শেটল্যান্ডের লিভিংস্টোন দ্বীপে অবস্থিত একটি গবেষণাকেন্দ্র থেকে গবেষণা করছেন।
আমারবাঙলা/এমআরইউ