পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ উপাদান পলিথিন বন্ধে আগামী ৩ নভেম্বর থেকে উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ অধিদপ্তর গঠিত মনিটরিং কমিটির উদ্যোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও আশপাশের বিভিন্ন সুপারশপে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। পরিবেশ মন্ত্রণালয় গঠিত মনিটরিং টিমের আহ্বায়ক অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ) তপন কুমার বিশ্বাস সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে’।
এ সময় মনিটরিং কমিটির সদস্যরা বাজার করতে আসা মানুষকে পলিথিন ব্যবহার না করে পাট ও কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহারের অনুরোধ জানান। একই সঙ্গে দোকানদারদের পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহার বন্ধে নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং পরবর্তী অভিযানে পলিথিনের ব্যাগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করা হয়।
অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস আরও বলেন, ‘পলিথিন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সকল জেলা প্রশাসক এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে’। তিনি বলেন, ১ ও ২ নভেম্বর সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় মোবাইল কোর্ট বন্ধ থাকলেও মনিটরিং কার্যক্রম চলমান থাকবে।
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং কমিটির সদস্য হিসেবে যুগ্মসচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিম, উপসচিব রুবিনা ফেরদৌসী, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক রাজিনারা বেগম এবং পরিচালক মোহাম্মাদ মাসুদ হাসান পাটোয়ারীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত প্রায় এক মাস ধরেই পলিথিন ব্যবহারে অনুৎসাহিত করে আসছে সরকার। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পলিথিনের বদলে উৎসাহিত করা হচ্ছে পাটের ব্যাগ ব্যবহারে। পাটের ব্যাগের ব্যবহার বাড়লে প্রান্তিক পাঠ চাষিরা আরও লাভবান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পলিথিন ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করতে দেখা গেছে সেন্টমার্টিনেও। দ্বীপটির পরিবেশ রক্ষায় পলিথিনের ব্যাগের ব্যবহার কমাতে পারলে তা আরও দ্বীপটির শোভাব বাড়াবে।
সরকার গঠনের পর থেকেই একে একে বিভিন্ন কাজ হাতে নিতে থাকে অন্তর্বর্তী সরকার। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশেল উন্নয়নসহ প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ অনেক পরিবর্তন আনতে দেখা গেছে এ সরকারকে।