“শীত মনে হয় না এবার আসবে, এলে অনেক আগেই এসে যেত”-এরকম হতাশার কথাকে দূরে রেখে আমাদের সুখবর দিচ্ছে আবহাওয়া অফিস। সংস্থাটি জানিয়েছে, কবে আসবে শীত। আবহাওয়া অফিস বলছে, সব মিলিয়ে আর কিছুদিন পরেই হয়ত টের পাওয়া যেতে পারে শীতের আগমনি বার্তা। দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে রাত বা ভোরের দিকে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া দেখা যাচ্ছে।
প্রকৃতিতে এখন চলছে হেমন্তকাল। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবের সময় কিছুটা শীত অনুভব হলেও এর পরপর আবার শুরু হয় গরম। আবহাওয়ার এই হেরফের কেবল বাংলাদেশে নয়। সারা পৃথিবীই এবছর আবহাওয়ার এই দ্বিমুখী আচরণ দেখেছে। বন্য হয়েছে মরুভূমিতেও।
এবার গ্রীষ্মকালে গরম ছিল প্রচুর। এক্সট্রিম ওয়েদারের যে ট্রেন্ড চলছে, এবছর আশঙ্কা করা হচ্ছে শীতের পরিমাণও অনেক বেশি থাকবে। কোল্ড ওয়েভের সম্ভাবনা রয়েছে।
শীতকালে দুরকম মানুষ দেখা যায়। কেউবা গুটি মেরে এক কাপ চা নিয়ে মিষ্টি রোদে চা খেতে ভালোবাসেন কেউবা কম্বল ছেড়ে উঠতে চান না। আনন্দ-বেদনা মিশ্রিত এই ঋতুটি দরজায় কড়া নাড়ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, যেহেতু এ বছর বৃষ্টিপাত বেশি হয়েছে সুতরাং জানুয়ারির দিকে বেশি শীত পড়বে। তবে এবার তুলনামূলকভাবে শীত হবে কম।
শীতকাল মানেই দুর্ভোগ বাংলাদেশের দরিদ্র লোকের। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় কাজে যোগ দিতে দুর্ভোগে পড়ে খেটে খাওয়া মানুষ। বেশি কষ্টে পড়ে শিশু, নারী, প্রতিবন্ধী ও বয়স্করা। দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে এখনই কিছুটা শীতের আমেজ তৈরি হয়ে গেছে। রাতে বা ভোরের দিকে দেশের কোথাও কোথাও কিছুটা কুয়াশাচ্ছন্ন ভাবও দেখা যায়। তবে কুয়াশা না বলে এটাকে ধোঁয়াশা বলাই ভালো। এই সময়ের জন্য এটা স্বাভাবিক ঘটনা।
বর্তমানে বাংলাদেশে আবহাওয়ার খুবই বিরূপ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলো ঘন ঘন আসছে। এতে মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। অল্প সময়ে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। সম্প্রতি হাওরাঞ্চল বিশেষ করে সিলেট, চট্টগ্রাম অঞ্চলে যে বন্যা হয়েছে এগুলো খুব অল্প সময়েই হয়েছে, যেটা আকস্মিক বন্যা। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখন বিশ্বজুড়ে।
ফলে একের পর এক হিটওয়েভ, কোল্ড ওয়েভ ভারী বৃষ্টিপাত, সাগরে ঘূর্ণিঝড়, আকস্মিক বন্যা হচ্ছে। এগুলো সবই কাঙ্ক্ষিত। কোনোটি খুব বেশি অনাকাঙ্ক্ষিত নয়। এসব আভাস আগে থেকে জানা ছিল।