নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বৃক্ষরোপণ অভিযান জোরদারের অংশ হিসেবে বিলুপ্তপ্রায় বৃক্ষ সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণে গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
সোমবার (২০ মে) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার-২০২২ ও ২০২৩’ পদক সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা চূড়ান্তকরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিদ্যমান বনভূমিতে ব্যাপকভাবে বনায়ন করে বনের আচ্ছাদন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বনভূমি উজাড় রোধে জবরদখলকৃত বনভূমি চিহ্নিতপূর্বক উদ্ধার করা হচ্ছে এবং বনায়ন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বন ও বনভূমি রক্ষায় টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। বন ও বনভূমির ডিজিটাল বাউন্ডারি ম্যাপিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফলে বনভূমি জবরদখল চিহ্নিত করা সহজ হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় সারা দেশে সবুজায়ন কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। বিশেষ করে শহরে বাড়ির ছাদসহ অন্যান্য স্থানে কীভাবে গাছ লাগানো যায়, সেটা গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে।
সভায় বৃক্ষরোপণে বিশেষ অবদান রাখায় প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কারের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিগত পর্যায়, ব্যক্তি মালিকানাধীন নার্সারি, বন বিভাগ কর্তৃক সৃজিত বাগান, বাড়ির ছাদে বাগান সৃজন, বৃক্ষ গবেষণা, সংরক্ষণ ও উদ্ভাবন প্রভৃতি ক্যাটাগরিতে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এর আগে উপজেলা, জেলা ও বিভাগ পর্যায়ের কমিটিতে যাচাই-বাছাই শেষে খসড়া তালিকা প্রণয়ন করা হয়।
১৯৯৩ সাল থেকে চালু হওয়া এই পুরস্কারের প্রতিটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্তদের সনদপত্র দেওয়া হবে। আর পুরস্কারের মূল্যমান হিসেবে প্রথম পুরস্কারের জন্য এক লাখ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কারের জন্য ৭৫ হাজার এবং তৃতীয় পুরস্কারের জন্য ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
এবি/এইচএন