নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় 'হামুন'-এর প্রভাবে দেশের ৩ বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়া অফিসের ভারি বর্ষণের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করে দুর্বল হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে আরও অগ্রসর হয়ে এবং বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হতে পারে।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত হামুনের প্রভাবে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি (৪৪-৮৮ মি.মি.) থেকে অতি ভারি (৮৯ মি.মি. বা তারও বেশি) বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে অতি ভারি বৃষ্টি কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে বলেও সতর্কবার্তায় জানানো হয়।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৭ টার দিকে হামুন উপকূল অতিক্রম শুরু করার পর প্রাথমিক আঘাতে কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে বিপুল সংখ্যক বাড়িঘর ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যায়। লন্ডভন্ড হয় শহরের ঘরবাড়ি ও গাছপালাসহ বহু স্থাপনা।
এ দিন সন্ধ্যার পর থেকে বাতাসের গতি অনেক বেশি ছিল। এ সময়ে অনেক ঘরবাড়ি উড়ে গেছে এবং বড় বড় অনেক গাছ দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। এছাড়া ভেঙে উড়ে গেছে সেখানকার দোকানপাটও।
কক্সবাজার মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায়ও গাছগাছালি ভেঙে অনেক সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে ঝড়ের বড় কোনো প্রভাব পড়েনি।
মঙ্গলবার রাতে হামুনের তাণ্ডবে কক্সবাজারে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিভীষণ কান্তি দাশ।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ৩ জন মারা গেছে। তাদের মধ্যে ১ জন পৌরসভা এলাকায়, ১ জন মহেশখালী ও ১ জন চকরিয়ায় মারা গেছেন। ঝোড়ো হাওয়ায় দেয়াল ও গাছচাপা পড়ে তাদের মৃত্যু হয়।
এবি/এইচএন