চরকি অরিজিনাল সিরিজ ‘২ষ’ দর্শকদের জন্য নিয়ে এসেছে ভয়ের অন্য রকম এক ব্যাখ্যা। যেখানে নেই হরর কনটেন্টের প্রচলিত ধারণা; বরং মানুষের অন্তর্গত লালসা, ক্রোধকে ভয়ের গল্পের মাধ্যমে বর্ণনা করার মুনশিয়ানার প্রশংসা করেছেন দর্শকেরা। স্থানীয় ঢংয়ের সিরিজটি যে মানের দিক থেকে আন্তর্জাতিক হয়ে উঠেছে, তা দর্শকেরা জানিয়েছেন অকপটে।
আর সে কারণেই আন্তর্জাতিক উৎসবে অংশগ্রহণ করতে সময় লাগলো না ‘২ষ’–এর। নুহাশ হুমায়ূন পরিচালিত সিরিজটি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তির পরপরই জায়গা করে নিলো সাউথ বাই সাউথওয়েস্ট (এসএক্সএসডব্লিউ) চলচ্চিত্র উৎসবে। চার পর্বের সিরিজটি মুক্তি পায় ১৯ ডিসেম্বর, আর উৎসবে অংশ নেওয়ার খবর এল।
তথ্যটি নিশ্চিত করে নুহাশ জানান, এসএক্সএসডব্লিউ ফিল্ম ও টিভি উৎসব একটি মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক উৎসব। সেখানে ‘২ষ’–এর প্রিমিয়ার হওয়ায় নির্মাতা খুবই আনন্দিত। সিরিজের কলাকুশলী, অভিনয়শিল্পীসহ পুরো ইউনিটকে নুহাশ হুমায়ূন ধন্যবাদ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত এবং সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। তারা ছাড়া সম্পূর্ণ স্থানীয় গল্প ও ঢংয়ে এমন আন্তর্জাতিক মানের কাজ করা সম্ভব ছিল না।’
সিরিজটির প্রথম সিজন ‘পেট কাটা ষ’–এর প্রিমিয়ার হয়েছিল রটারডাম ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। দ্বিতীয় সিজনটিও আন্তর্জাতিক উৎসবে জায়গা করে নেওয়ায় উচ্ছ্বসিত সিরিজটির প্রযোজক ও চরকির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি।
তিনি বলেন, ‘দুটি সিজনে “ষ” ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। দেশের কনটেন্ট কীভাবে আন্তর্জাতিক হয়ে ওঠে, তার বড় উদাহরণ “ষ” সিরিজ। “২ষ”–এর গল্প ভাবনা এবং নির্মাণ আরও বেশি শাশ্বত। যার কারণে দেশের দর্শকেরাও যেমন সিরিজের প্রশংসা করেছেন, তেমন বিদেশি জুরি–সমালোচকেরাও পেয়েছেন অন্য রকম অভিজ্ঞতা।’
উৎসবের এপিসোডিক ক্যাটাগরিতে হবে ‘২ষ’–এর প্রিমিয়ার। মার্চের ৭ থেকে ১৫ তারিখ হবে উৎসব। এর মধ্যে যেকোনো একদিন প্রিমিয়ার হবে বলে জানান নুহাশ। তিনি আরও জানান, এর আগে এই ক্যাটাগরিতে প্রিমিয়ার হয়েছে এইচবিও ‘অরিজিনাল ব্যারি’, ‘সিলিকন ভ্যালি’, প্রাইম ভিডিওর ‘মিস্টার রোবট’।
নুহাশ হুমায়ূন ও তার মা গুলতেকিন খানের গল্পে সিরিজের গল্পগুলো হলো-‘ওয়াক্ত’, ‘ভাগ্য ভালো’, ‘অন্তরা’ ও ‘বেসুরা’। প্রতিটি গল্পের রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা। নুহাশ জানান, ‘ভাগ্য ভালো’ গল্পটি ভাইরাল হওয়া এক জ্যোতিষীকে নিয়ে।
অতিপ্রাকৃতিক বিবাহিত জীবন নিয়ে গড়ে উঠেছে ‘অন্তরা’–এর গল্প। সুর–ছন্দ ছাড়া জন্মানো এক শিল্পীর গল্প থাকছে ‘বেসুরা’তে। আর ‘ওয়াক্ত’–এ আছে পাঁচ বন্ধুর, পাঁচটি ভিন্ন সময়ে পাঁচ ধরনের পরিণতির গল্প।
‘২ষ’ সিরিজে হররটাকে একদমই ভিন্নভাবে দেখিয়েছেন নির্মাতা। সিরিজে অনেক কিছু নিয়েই এক্সপেরিমেন্ট করা হয়েছে। পুরো সিরিজেই পোশাক, সাজসজ্জা, কাস্টিং, আর্ট, মিউজিকে নতুন কিছু করার চেষ্টা করেছেন নুহাশ হুমায়ূন।
আমারবাঙলা/জিজি