বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে ‘ইকোস অব রেভল্যুশন’ কনসার্টে গাইলেন পাকিস্তানের সুফি সংগীতের জনপ্রিয় শিল্পী রাহাত ফতেহ আলী খান।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে দলসহ মঞ্চে ওঠেন রাহাত ফতেহ আলী খান। ‘তেরি মেরি’ গানের সুরে সেতার ও সানাই পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় পরিবেশনা৷
সেই পরিবেশনা শেষে রাহাত ফতেহ আলী বলেন, বাংলাদেশ আমি তোমায় ভালোবাসি। পাকিস্তান থেকে তোমাদের ভালোবাসায় চলে এলাম। প্রথমবার আমার ছেলে বাংলাদেশে এসেছে। তাকে নিয়েই শুরু করলাম ‘আশ পাশ খুদা’।
এরপর ‘সাজনা তেরি বিনা’, ‘নিত কেহার মাঙ্গা’, ‘ওরে প্রিয়া’, ‘তেরি আঁখো কী দড়িয়া কা’', ‘তেরে রাশকে কামার’ গানে মাতিয়ে তোলেন দর্শকদের। উপমহাদেশের সংগীত কিংবদন্তি নুসরাত ফতেহ আলী খানের ভাতিজা রাহাত তার জনপ্রিয় বিভিন্ন গজলও পরিবেশনা করেন।
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে নিহত-আহতদের পরিবারকে সহায়তার জন্য এই ‘চ্যারিটি কনসার্ট’র আয়োজন করেছে ‘স্পিরিটস অব জুলাই’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম।
শনিবার বিকাল ৪টা থেকে আর্মি স্টেডিয়ামে শুরু হয় কনসার্ট। শুরুতে মঞ্চে ওঠে ব্যান্ড দল সিলসিলা। তাদের আধা ঘণ্টার পরিবেশনা শেষে ‘আওয়াজ উডা’ গানের জন্য শিল্পী র্যাপার হান্নান মঞ্চে আসেন। হান্নানের পর ‘কথা ক’ গান দিয়ে দর্শক মাতান র্যাপার সেজান।
বিরতির পর সাড়ে ৫টার দিকে মঞ্চে ওঠে রক ব্যান্ড আফটারম্যাথ। আর্মি স্টেডিয়ামে এটিই তাদের প্রথম কনসার্ট। পরিবেশনা শুরু হয় ‘অধিকার’ গান দিয়ে। তারপর ‘উৎসর্গ’, ‘মাটির রোদ’সহ আরো কয়েকটি গান পরিবেশন করে দলটি।
রক গানের উন্মাদনার পর সন্ধ্যা ৬টার দিকে মঞ্চে ওঠেন ব্যান্ডদল চিরকুট। ‘ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা’ গানটি দিয়ে শুরু করে প্রায় এক ঘণ্টার মত পরিবেশনায় তারা শোনান ‘দুনিয়া’, ‘মরে যাবো’, ‘জাদুর শহরে’, ‘কানামাছি’, ‘আহারে জীবন’সহ আটটি গান।
হালকা বিরতির শেষে সাড়ে ৮টার দিকে মঞ্চে ওঠে ব্যান্ডদল আর্টসেল। ‘পথচলা’ গান দিয়ে শুরু হয় পরিবেশনা। এরপর তারা শোনান ‘অনিকেত প্রান্তর’।
এ ব্যান্ডদল জুলাই বিপ্লবকে উৎসর্গ করে গেয়ে শোনান একাত্তরের উজ্জয়িনী গান ‘মাগো ভাবনা কেন’ আর ‘তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর’।
এরপর ‘ধূসর সময়’, ‘আর্তনাদ’, ‘অন্য সময়’, ‘দুঃখবিলান’ শুনিয়ে শেষ হয় পারফরম্যান্স।
এরপর মঞ্চে আসেন কনসার্টের মূল আকর্ষণ রাহাত ফতেহ আলী খান।
আমারবাঙলা/এমআরইউ