ঢাকাই সিনেমার অভিনেত্রী অপু বিশ্বাসের নামে মামলা হয়েছে। ঢাকার একটি আদালতে গত ২৪ আগস্ট সিমি ইসলাম কলি নামে এক প্রযোজক মামলাটি করেন। অপু ছাড়াও মামলায় আসামি করা হয়েছে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম ও জাহিদুল ইসলাম আপন নামের একজনকে।
মামলা প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন অপু। তিনি বলেন, আর পারি না এই মহিলাকে (সিমি ইসলাম কলি) নিয়ে। ওনার তো সবকিছু দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার মামলা কীসের! আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। এসব তো ফাজলামি।
অভিনেত্রী বলেন, এখানে হিরো আলম এলো কোথা থেকে! এটি সিমিই ভালো বলতে পারবেন। আমি তাকে ঠিকঠাকভাবে চিনিও না। আমি কী উত্তর দিতে পারি বলেন। সে টাকা কোথায় দিয়েছে কেন দিয়েছে— আমি কিছুই জানি না। এখন এসব মনগড়া কথা বলছে কেন।
অপু আরো বলেন, অফিসিয়ালি ইউটিউব চ্যানেল নিয়ন্ত্রণ করেন আমার অ্যাডমিন। হয়তো নাম আমার। মালিকানা আমার। কিন্তু আমি এসব নিয়ন্ত্রণ করি না। অন্য সংস্থা দিয়ে চালাই। যদি আমার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হতো তাহলে আমি বলতে পারতাম।
তিনি বলেন, আমি যতটুকু জানি তিনি (সিমি) বুদ্ধিমান। তার মাথায় এসব কে ঢোকাচ্ছে, কেন ঢোকাচ্ছে জানি না। তিনি যদি চলচ্চিত্রেই কাজ করতে চান তাহলে এসব নিয়ে কেন বিতর্ক সৃষ্টি করছেন। আর তিনি টাকা কোথায় দিয়েছেন না দিয়েছেন কী সব বানোয়াট কথা ছড়াচ্ছেন।
বিষয়টি নিয়ে কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে চান কিনা? এমন প্রশ্নে অপু বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে তারপর জানাবো।
অন্যদিকে মামলা প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে সিমি বলেন, ইউটিউব চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বহুদিন অপুর কাছে গিয়ে অনুরোধ করেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। আমার হয়ে প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু ভাইও অপুর সঙ্গে কথা বলেছে। কিন্তু তার কথাও তিনি রাখেননি।
তিনি আরো বলেন, একদিন হিরো আলম আমাকে ফোন করে বলেন, আমি রাজি হলে অপুর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করে দেবেন। আমার মনে হয়, অপুই তাকে ফোন দিতে বলেছেন আমাকে। এরপর টাকার বিনিময়ে চ্যানেলটি ফিরে পেলেও ভিডিওগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়। বিষয়টি হিরো আলমকে জানালে তিনি বলেন, দেখছি কী করা যায়। এরপর আর কোনো খবর নেই।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সিমির ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক করেছেন অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম আপন। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই সাধারণ ডায়েরি ও প্রযোজক সমিতির মাধ্যমে সুরাহা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কোনো সমাধান না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। পাশাপাশি মামলায় আরো অভিযোগ করেন, হিরো আলমের মাধ্যমে সমাধানের নাম করে তার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছেন অপু বিশ্বাস।
গত বছর আগস্টে ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক করার অভিযোগে অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন সিমি।
আমারবাঙলা/এমআরইউ