বিনোদন ডেস্ক: সাকলায়েন-পরীমণি বিষয় নিয়ে যখন নতুন করে আলোচনা-সমালোচনা, তখনই বিষয়টি নিয়ে নতুন তথ্য সামনে আনলেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ। বোট ক্লাবের সাবেক কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গত ২৫ জুন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন পরীমনি।
একই দিন দুপুরের দিকে প্রকাশ্যে আসে, পরীমনির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের জন্য চাকরি হারাতে বসেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম সাকলায়েন। নাসিরউদ্দিনের মতে, পরীমনির সঙ্গে গোলাম সাকলায়েনের আগে থেকেই সম্পর্ক ছিল। অর্থাৎ নাসির উদ্দিনের সঙ্গে পরীমনির ঘটে যাওয়া ঘটনার আগে থেকেই অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সাকলায়েনের।
গণমাধ্যমে পরীমনি-সাকলায়েন প্রসঙ্গে এ ব্যবসায়ী বলেন, আমাকে যেদিন গ্রেপ্তার করা হয়, সেদিন ডিবি থেকে সাকলায়েনের আসার অনুমতি ছিল না, কোনো বিশেষ কারণে অপারেশনে যাওয়ার অনুমতি ছিল না তার। এর পরও স্পটে দেখা গেছে তাকে। বেশ উৎফুল্ল ছিলেন তিনি। আমাকে নেওয়ার পরদিনই সেখানে পরীমনি গিয়েছিলেন। তাকে সাকলায়েনই নিয়ে গেছেন।
নাসির উদ্দিনের ভাষ্যমতে, সাকলায়েনের সঙ্গে সম্পর্কের কারণেই বিষয়টি বাঁধিয়েছে সে, হয়তো এ রকম আরো সাকলায়েন থাকতে পারে। ২০২১ সালের ১৩ জুন বোট ক্লাবের ঘটনার পর পরীমনিকে ধর্ষণচেষ্টা ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হলে এ ব্যাপারে মামলা হয়। মামলার পরদিনই অভিযুক্ত ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই সময় তার সঙ্গে আরো কয়েকজন সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। মামলায় সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে অভিনেত্রী পরীমনিকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আর ওই সময়ই ডিবির গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) গোলাম সাকলায়েনের সঙ্গে পরিচয় হয় অভিনেত্রীর। এরপর নিয়মিত যোগাযোগ হতো দুজনের। এমনকি পরীমনির বাসায় যাওয়া-আসাও শুরু করেন গোলাম সাকলায়েন। মাঝে মাঝে দু’জন গাড়ি নিয়ে ঘুরতেও বের হতেন।
এডিসি গোলাম সাকলায়েনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে অভিনেত্রী পরীমনির। ওই সময় সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফরমে ১ মিনিট ৩৯ সেকেন্টের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, নীল ও কালো বেলুনে সুসজ্জিত একটি রুমে রোমান্সে মেতে আছেন তারা। সেখানে সাকলাইনের হাত ধরে কেক কাটতে দেখা যায় অভিনেত্রীকে। আর সাকলায়েনকে উইশ করে ‘হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ’-ও বলেন পরীমনি।
সূত্রের তথ্য বলছে, সর্বশেষ পরীমনি ডিবির কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েনের রাজারবাগের মধুমতি ভবনের বাসায় যান। সেখানে প্রায় ১৭ ঘণ্টা অবস্থান করেন তারা। আর ২০২১ সালের ৪ আগস্ট রাতে গ্রেপ্তারের পর অকপটে সব কিছু স্বীকার করেন পরীমনি।
এবি/এইচএন