বিনোদন প্রতিবেদক: বাংলাদেশ টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির (২০২৪-২০২৬) দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা গত ৩ মে শুক্রবার বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাহী কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নাট্যকার ও নাট্যনির্মাতা এজাজ মুননা। আর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে জাকির হোসেন উজ্জ্বলকে। সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে তরুণ নাট্যকার রাজীব মণি দাসকে। এছাড়া কমিটির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন পান্থ শাহরিয়ার, শফিকুর রহমান শান্তনু, মোস্তফা মমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আজম খান, টুকু মজনিউল, সাজিন আহমেদ বাবু; অর্থ সম্পাদক- মনসুর চঞ্চল; প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক- কামরুল আহসান; তথ্য প্রযুক্তি ও অনুষ্ঠান-এলিনা শাম্মী; আইন ও কল্যাণ সম্পাদক- মানস পাল; দপ্তর সম্পাদক আফরিন জেসিকা; গবেষণা ও প্রশিক্ষক সম্পাদক- জুয়েল কবীর। কার্যনির্বাহী সম্পাদক ৪জন হলেন ড. লিপি মনোয়ার, আহমেদ শাহাবুদ্দীন, মেজবাহ উদ্দিন সুমন ও লিটু সাখাওয়াত।
নবগঠিত কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন উপন্যাসিক, নাট্যকার ও নির্মাতা রাজীব মণি দাস। যিনি ২২-২৪ সালের কমিটিতে দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের নতুন কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করায় সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান রাজীব মণি দাস। তিনি বলেন, আমি আমার পূর্বের দায়িত্বের প্রতি অটুট ছিলাম, বর্তমান দায়িত্ব পেয়ে আমি অভিভূত এবং এ দায়িত্ব যেন সঠিকভাবে পালন করতে পারি সকলের কাছে সেই প্রার্থনা করছি। রাজীব মণি দাস এ প্রর্যন্ত প্রায় একশত পঞ্চাশটি একক নাটকের পাশাপাশি ১৩টি ধারাবাহিক নাটক লিখেছেন। তার লেখা গানের সংখ্যা প্রায় ৩০টি। এ পর্যন্ত উপন্যাস লিখেছেন ৪টি । এছাড়া ২৫টির অধিক বিজ্ঞাপনের কনসেপ্ট তৈরি ও নির্মাণ করেছেন তিনি। বর্তমান সময়ের নাটকে পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে রাজীব মণি দাস বলেন, ‘বাজেটের কারণে আমাদের নাটকে চরিত্র সংখ্যা কমে যাচ্ছে। তবে আমি কখনোই ফরমায়েশি লেখা লিখিনি। পরিবার কেন্দিক গল্প আমার নাটকের মূল উপজীব্য। একটা চরিত্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে অনেকগুলো চরিত্রের প্রয়োজন পড়ে। এই চরিত্রগুলোই হলো নাটকের অলঙ্কার। অলঙ্কার ছাড়া ভালো নাটক নির্মাণ করা অসম্ভব।