১০ বছর আগে ববিতার ‘পুত্র এখন পয়সাওয়ালা’ ছবিটি মুক্তি পায়। এর পর এই অভিনয়শিল্পীকে নতুন আর কোনো ছবিতে দেখা যায়নি। তবে অভিনয়ের প্রস্তাব যে পাননি, তা কিন্তু নয়। কিন্তু কখনো গল্প পছন্দ না হওয়া, আবার কখনো সময়-সুযোগ বের করতে না পারায় অভিনয়ে সম্মতি দেননি। সিনেমায় অভিনয়ের খবরে না এলেও ঠিকই নানা সময়ে নানান বিষয়ে খবরে ছিলেন তিনি। এর মধ্যে ভুয়া ফেসবুক আইডির কারণে ক্ষোভ প্রকাশের কারণে খবরের শিরোনাম হয়েছেন। কানাডায় ছেলের কাছে লম্বা সময় কাটিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশে ফিরেছেন ববিতা। ফিরে এসে আবার জানালেন, কে বা কারা তার নামের ফেসবুক আইডি থেকে অসুস্থতার খবর ছড়িয়েছেন। এমন সব খবর কানে এসেছে ববিতার। এতে বিব্রত ও ক্ষুব্ধ এই অভিনয়শিল্পী।
ববিতা জানালেন, এর আগে বন্ধু হওয়ার অনুরোধ পাঠাত। আবার টাকাও চাইত কারো কাছে। এবার অভিনব পদ্ধতি বেছে নিয়েছে এই চক্র। ববিতার নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পোস্টে হাতে ক্যানুলাসহ ছবি দিয়ে লেখা হয়েছে ‘এবার দেশে এসে বেশির ভাগ সময় ঘরবন্দী হয়ে পড়েছি। তাই অসুস্থতা পিছু ছাড়ছে না।’
ক্ষুব্ধ ববিতা আরো বলেন, ‘আমি নিজেও কোনো দিন ফেসবুক ব্যবহার করিনি। অথচ প্রায়ই আমাকে শুনতে হয়, আপনি তো আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড। আপনার সঙ্গে মেসেঞ্জারে আলাপটা সেদিন ভালোই জমে উঠেছিল! শুনে তো আকাশ থেকে পড়ার অবস্থা। আমার বিভিন্ন অনুষ্ঠানের এবং ঘরের দুর্লভ স্থিরচিত্রও ওই ফেসবুক থেকে প্রকাশ করে দেওয়া হয়। শুধু তা–ই নয়, আমি নাকি দেশের বাইরে থাকা অবস্থায় মেসেঞ্জারে কার কার কাছে টাকা চেয়েছি। পুরো বিষয়টি আমার জন্য ভীষণ অস্বস্তিকর। শুরুতে বিষয়গুলো খুব পাত্তা দিইনি, কিন্তু এখন দেখছি অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে দিয়েছে কারা। এসব আর কত দিন সহ্য করা যায়!’
তবে ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের আশ্বস্ত করে ববিতা বললেন, ‘আমি একদম ঠিকঠাক আছি। ছেলের কাছ থেকে কয়েক মাস বেড়িয়ে এলাম। আপাতত দেশে আছি। নিজের মতো করে জীবনটা কাটছে।’
ববিতা আরো জানান, ‘যিনি বা যাঁরা এখন এই ধরনের বাজে মানসিকতা নিয়ে কাজ করছেন, তারা পরে রাষ্ট্র ও সমাজবিরোধী কোনো লেখা পোস্ট করে দিতেও দ্বিধা বোধ করবেন না। পুরো ব্যাপারটি নিয়ে সত্যিই আমরা আতঙ্কিত। সবাইকে বলতে চাই, “আমাদের পরিবারের কেউই ফেসবুক ব্যবহার করি না। তাই এ ধরনের ফাঁদে কেউ পা দেবেন না, এমন আচরণ যারা করবেন, তাদের বিশ্বাস করবেন না।”’
আমারবাঙলা/জিজি