এমপিওভুক্ত (স্কুল, কলেজ মাদ্রাসা ও কারিগরি) শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে নবম দিনের মতো জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। এ সময় তারা সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, শতভাগ উৎসব ভাতা এবং প্রতিষ্ঠান প্রধান থেকে কর্মচারী পর্যন্ত সর্বজনীন বদলিরও দাবি জানান।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি থেকে এসব দাবি জানিয়েছেন তারা। বিকালের দিকে আন্দোলনকারীরা শিক্ষা ভবন অভিমুখে পদযাত্রা করবে বলে জানা গেছে।
অবস্থান কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীরা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারিগণ বাড়িভাড়ার জন্য মাসিক ১ হাজার, চিকিৎসা ভাতার জন্য ৫০০ এবং উৎসব ভাতা হিসেবে বেতনের ২৫ শতাংশ পেয়ে থাকেন যা অত্যন্ত অযৌক্তিক ও অমানবিক। ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা হিসেবে একজন এন্ট্রি লেভের শিক্ষক ৩১২৫ টাকা উৎসব ভাতা পেয়ে থাকেন যা দিয়ে দ্রব্যমূল্যের বাড়তি বাজারে কোনভাবেই একজন শিক্ষকের পক্ষে ঈদ উৎসব উদযাপন করা সম্ভব নয়। এই কর্মসূচির সঙ্গে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদেরও স্বার্থ জড়িত রয়েছে। কারণ, বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে ১ জন শিক্ষার্থীকে মাসে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন দিতে হয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ করা হলে শিক্ষার্থীরা ১০ থেকে ১৫ টাকা মাসিক বেতনে পড়াশোনা করতে পারবে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব দেলাওয়ার হোসেন আজীজী বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের ভাতাসমূহ পরিবর্তনের মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীগণ বারবার প্রতারিত হয়ে আশ্বাসের ওপর বিশ্বাস করে আবারো প্রতারিত হতে চায় না।
সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে বৈকঠ করেন। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে শতভাগ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারির জোর দাবি জানান।
তিনি বলেন, বাড়িভাড়া এবং মেডিকেল ভাতা বৃদ্ধির সুস্পষ্ট ঘোষণা দাবি করেন। শতভাগ উৎসবভাতার প্রজ্ঞাপন জারি এবং বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির ব্যাপারে আজ এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ৩য় দিনের মতো পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন-এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহ আলম, অধ্যক্ষ আবু সায়েম মোল্লা, সমন্বয়ক মো. জহিরুল ইসলাম, জোটের যুগ্ম সদস্য সচিব প্রকৌশলী আবুল বাশার, আব্দুল হাই সিদ্দিকী, রবিউল ইসলাম, তোফায়েল সরকার, ফররুখ শেরাহ, মো. কাইয়ুম, আফরোজা শ্রাবণ, মোতাফিজুর রহমান নবিয়াবাদী আব্দুর রহমান, উপাধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান, মো ইলিয়াস, আ. হালিম, ফয়েজ আহমদ, মো. রুহুল আমিন, রাশেদ মোশারফ, উপাধ্যক্ষ মো. আমিনুল ইসলাম, মো. কাইয়ুম, মো. মিজানুর রহমান, মো জিয়াউল, মুজিবুর রহমান, ফজলুল হক, আহসান হাবীব, জিএম শাওন, হাবিবুর রহমান রাজু মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ।
আমারবাঙলা/জিজি