ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অপসারণসহ সাত দফা দাবিতে ছাত্রদের আন্দোলন ঠেকাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা ঢাকা ঢাকা সিটি কলেজ খোলার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আগামী মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) থেকে কলেজের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চালু হবে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক কাজী নিয়ামুল হকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১৯ নভেম্বর থেকে কলেজ খোলা হবে। প্রথমদিন একাদশ শ্রেণির ক্লাস হবে। তবে প্রথম সেমিস্টারের ক্লাস টেস্ট হবে না। পরদিন (২০ নভেম্বর) দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে। তবে দ্বাদশ শ্রেণিরও প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা হবে না। এ ছাড়া স্নাতক (অনার্স) ও স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে ২১ নভেম্বর থেকে।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ মোট সাত দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলন ঠেকাতে কলেজ কর্তৃপক্ষ ৪ নভেম্বর নোটিশ দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গণ-অভ্যুত্থানের পর আগের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর নিজ থেকেই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে চেয়ারে বসেন অধ্যাপক কাজী নিয়ামুল এবং ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ হিসেবে মো. মোখলেছুর রহমানকে চেয়ারে বসেন। দায়িত্ব নিয়েই তারা একাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে শোকজ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষ নানা স্বেচ্ছাচারিতা, বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে শিক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছেন। এসব কারণে আন্দোলনে যান শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা সাত দফা দাবিগুলো হচ্ছে— নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগ দিতে হবে, তিন মাসের মধ্যে বহিষ্কৃত সুমন স্যারকে পুনর্বহাল করতে হবে, মোশাররফ স্যারকে পুনর্বহাল করতে হবে, কায়কোবাদ স্যারের নামে মিথ্যাচার প্রত্যাহার করতে হবে, জাহাঙ্গীর স্যারকে বহিষ্কার করতে হবে, সোবহান স্যারের বহিষ্কার করতে হবে এবং আন্দোলনকারীদের ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে নির্যাতন করা যাবে না।
আমারবাঙলা/এমআরইউ