নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেছেন ৭ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ১২ টা ১৫ মিনিটে ঢাকা কলেজে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সায়েন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের ফলে আশপাশের এলাকায় যানচলাচল হয়ে যায়।
শিক্ষার্থীরা জানান, স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার যৌক্তিক দাবি নিয়ে তারা আন্দোলন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কোনো উদ্যোগ না নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। আমরা এই কমিশন প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরা চাই অতি দ্রুত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হোক। আমরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী তুষার হোসেন জানান, বেশ কয়েকদিন আমাদের দাবির পক্ষে সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের কোন উদ্যোগ দেখিনি। শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছে। আমরা চাই দ্রুত আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হোক।
এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা কলেজে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাত কলেজের সমস্যার চিত্র তুলে ধরে শিক্ষার্থীরা। এরপর একই দাবি জানিয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ও ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজকে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। একই স্মারকলিপি কলেজগুলোর অধ্যক্ষদেরও দেওয়া হয়।
এরপর গত ২২ অক্টোবর সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা রাজধানীর নীলক্ষেত ও সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করে। দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত এ অবরোধ কর্মসূচি চলে। বিকেলে সায়েন্সল্যাব মোড়ে কর্মসূচি থেকে ৩ দফা দাবি জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয় শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে সেদিনের মতো কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সাত কলেজের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক সমস্যা নিরসনে ১৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটিকে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের তিনদফা দাবিগুলো হলো-
১. অনতিবিলম্বে সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন গঠন করতে হবে।
২. এই কমিশন বিভিন্ন বিষয় যাচাই-বাছাই করে ৩০ দিনের মধ্যে একটি রূপরেখা প্রণয়ন করবেন।
৩. স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে কোন সেশনজট তৈরি হতে পারবে না। যতদিন বিশ্ববিদ্যালয় গঠন না হবে ততদিন সেশনজট যেন না হয় সেভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে নিতে হবে।
আমার বাঙলা/এমআর