নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্কাউটস্ এর সম্পাদক ও প্রধান রোভার স্কাউট লিডার মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে একটি দৈনিক প্রতিবেদন প্রকাশ করায় তিনি সংবাদটির প্রতিবাদ জানিয়েছেন। জনাব মাহমুদুর রহমান আমার বাঙলাকে বলেন যে, আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, কল্পনাপ্রসূত ও মনগড়া। একটি দুষ্টচক্র আমার পেশাগত সুনাম ক্ষুন্ন করা এবং আমাকে কর্মক্ষেত্রে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি পত্রিকার প্রতিবেদককে কাল্পনিক, ভিত্তিহীন ও অসত্য তথ্য সরবরাহ করেছে।
মাহমুদুর রহমান আরো বলেন, বিগত চার বছরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাস্তবায়নের জন্য যে অর্থ বিশ্ববিদ্যালয় প্রদান করেছে তার হিসাব প্রদান করিনি যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রত্যেকটি অনুষ্ঠান শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়ম অনুয়ায়ী যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট ভাউচারসহ আগাম সমন্বয় হিসাব জমা দেয়া আছে। একই সাথে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে চাহিদার চেয়ে কম সংখ্যক রোভার প্রেরণের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তাও সঠিক না। আমাদের কাছে রেকর্ড রয়েছে কখনো কখনো একই সম্মানিতে চাহিদার তুলনায় বেশি রোভার প্রেরণ করে অনুষ্ঠানকে সফল করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক ও শিক্ষকদের আপ্যায়নে ভিন্নতার কারণ কেবল সনাতন ধর্মাবলম্বী ও যাদের বিফে এলার্জী হয় তাদের জন্য মাটন বা অতিরিক্ত চিকেনের ব্যবস্থা রাখা হতো।
টেলিফোনের অপব্যবহারের অভিযোগও ভিত্তিহীন। ঢাবি রোভার স্কাউট অফিসের (ডেন) জন্য যে পিএবিএক্স ফোনটি দেয়া হয়েছিল (যার নম্বর ৪৭০০) তা বর্তমানে আইপি ফোন দ্বারা পুন:সংযোগের অপেক্ষায় রয়েছে। ২০১৯-২০ ও ২০২২ সনের অর্থের গড়মিলের কথা সত্য নয়, প্রকৃত সত্য হলো উল্লেখিত বছরে কতিপয় সিনিয়র রোভার মেটের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপিত হলে রোভার স্কাউট লিডার সহকারী অধ্যাপক জনাব জুয়েল মিয়াকে প্রধান করে কমিটি করা হয়। তিনি তাদের নিকট থেকে বিভিন্ন ফান্ডের ১,১৭,৬৭০ টাকা হিসাব বের করে কমিটির সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী এ সকল ফান্ড থেকে ক্যামেরা ক্রয়, প্রাক্তন রোভারদের সংগঠন ডুরসেফের পাওনা পরিশোধ, করোনা ও ক্যান্সার আক্রান্ত রোভারদের আর্থিক সহয়তাসহ বিভিন্ন স্কাউটিং কার্যক্রমে ব্যয় করা হয়, যার প্রত্যেকটি ডকুমেন্ট সংরক্ষিত রয়েছে।
সভা না করে এককভাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অভিযোগ করা হয়েছে যা মনগড়া এবং ভিত্তিহীন। প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানের আগে নিয়মিত সভা ছাড়াও জরুরী সভা করা হয়। সভার কার্যবিরণী, চিঠি ও মেবাইলে ক্ষুদে বার্তা প্রেরণের রেকর্ড রয়েছে। আমার নিয়োগ ও পদবী নিয়েও প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে যা একেবারেই ভিত্তিহীন । অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব অবসরে যাওয়ায় গত ১৬.১০.২০১৯ তারিখে রোভার স্কাউট লিডার কাউন্সিলের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত ও সুপারিশের ভিত্তিতে তৎকালীন উপাচার্য আমাকে প্রচলিত নিয়মে সম্পাদক ও প্রধান রোভার স্কাউট লিডার পদে নিয়োগ প্রদান করেন। ‘সম্পাদক ও প্রধান রোভার স্কাউট লিডার’ নতুন কোন সংযোজন নয়, ইতোপূর্বে যারা এই দায়িত্বে ছিলেন সকলেই একই পদবী ব্যবহার করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদেয় আগাম অর্থ দ্বারা নতুন আসবাবপত্র না কিনে পুরাতন আসবাবপত্র মেরামত করা হয়েছে মর্মে একটি বাস্তবতা বিবর্জিত প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে। এ বিষয়ে গ্রুপের কোষাধ্যক্ষসহ সকলের সাথে আলোচনা করে বিপুল সংখ্যক পুরাতন আসবাবপত্র মেরামত, কুশন পরিবর্তন ও রং করা হয়েছে যার বাজার মূল্য প্রদেয় আগাম অর্থের কয়েকগুন। সুতরাং প্রতিষ্ঠানের বৃহত্তর স্বার্থে সকলের সাথে আলোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। এ ধরণের অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশে স্কাউট আন্দোলন তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিনিয়র অফিসারকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্কাউটস্ এর সম্পাদক ও প্রধান রোভার স্কাউট লিডার মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও অনিয়মের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোন অভিযোগ বা প্রশ্ন তোলা হয়নি।