নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘শিশুবান্ধব প্রাথমিক শিক্ষা, স্মার্ট বাংলাদেশের দীক্ষা’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আগামীকাল শুরু হচ্ছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৪ এবং প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহষ্পতিবার ২৭ জুন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন । এবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় প্রাথমিক শিক্ষা পদক পাচ্ছেন ১২৬ জন। অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক গ্রহণ করবেন ৫৪ জন।
জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেন,‘আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করেছে এবং মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছি এবং তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। দেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেছি এবং ১ লাখ ৫ হাজার ৬১৬ জন শিক্ষকের চাকরি সরকারীকরণ করেছি।’
প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রদান নীতিমালায় উল্লেখ করা হয় শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশ, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রাথমিক শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সৃজনশীল কাজে উৎসাহ ও অণুপ্রেরণা প্রদান এবং তাদের অবদানের স্বীকৃতি দিতে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পুরস্কৃত করে উজ্জীবিত করার লক্ষ্যকে সামনে নিয়েই প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্তমান সরকার মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। বিদ্যালয়গুলোতে আধুনিক ও শিশুবান্ধব করে গড়ে তোলা, সকল শিশুর বিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত করা, ঝরে পড়ার হার সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা এবং শিক্ষার্থীদের যোগ্যতাভিত্তিক শিখন-শেখানো কার্যক্রম নিশ্চিতকরণে প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট সবার অংশগ্রহণ।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ জানান, ‘২০২২ সালে প্রাথমিক শিক্ষা পদক নীতিমালায় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে কয়েকটি নতুন পদক সংযোজন করে মোট ১৮টি ক্যাটাগরীতে উন্নীত করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রদানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে- শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের মাধ্যমে নিজ সংস্কৃতির উন্নয়ন, আত্ম উন্নয়ন, আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন এবং দেশ ও আন্তজার্তিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজ দেশের সংস্কৃতি উন্মোচন করা।’
বিদ্যালয়, ক্লাষ্টার ও উপজেলা বা থানা পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, শিশু শিল্পী, ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীকে পদক ও সনদ দেওয়ার মাধ্যমে তাদের উৎসাহিত করতে কাজের স্বীকৃতি প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি। সচিব বলেন, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহে স্ব স্ব ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিদের পুরস্কৃত করা হয়। সেই সঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক নৈপুণ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের জন্য পদক ও সনদ প্রদানের মাধ্যমে পুরস্কৃত করা হয়। এবার তিন ক্ষেত্রে ১৮ ক্যাটাগরীতে ১২৬ জন পদক পাচ্ছেন।
এবি/এইচএন