নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ২৫শে এপ্রিল তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ১৪৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেন তুরস্কে সফররত আন্তর্জাতিক সুফি স্কলারগণ। অতিথিবৃন্দের মধ্যে অন্যতম ছিলেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান শাহ্জাদা ড. সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী।
পরিদর্শন শেষে এক বার্তায় তিনি বলেন,"ইস্তাম্বুল শহরটি ইসলামের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষী। মুসলমানদের স্বর্ণযুগে, মুসলিমরা জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রতিটি শাখায় রাজত্ব করেছিলো। মূলত মানবসভ্যতাকে তারাই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে, যারা জ্ঞান-বিজ্ঞানে দক্ষতা অর্জন করতে পারে। আজ মুসলমানদের দুরবস্থার জন্য উচ্চ শিক্ষা, গবেষণা ও জ্ঞানচর্চার প্রতি অনীহাই অনেকাংশে দায়ী।
আমরা জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা না করে, ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয়ে একে অপরের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ছি। অপরদিকে, টেকনোলজিতে অন্যরা এগিয়ে যাচ্ছে। এখন মুসলিমরা তাদের দাসে পরিণত হচ্ছে। তাই মুসলিম বিশ্বের প্রতি আমার দৃঢ় আহবান থাকবে, আপনারা গবেষণা ও জ্ঞানচর্চায় গুরুত্ব দিন।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার আদর্শ পরিবেশ, বরাদ্দ ও উন্নত মান নিশ্চিত করুন। তিনি বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলেন বাংলাদেশে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ যথেষ্ট নয়। উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে এ খাতে জিডিপির অন্তত ৪-৬% বরাদ্দ থাকা প্রয়োজন।"
'ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি অফ সুফি স্কলারস' এর আয়োজনে ২১শে এপ্রিল, ২০২৪ থেকে তুরস্কে 'ইন্টারন্যাশনাল সাইন্টিফিক কনফারেন্স' এবং বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আয়োজিত সিম্পোজিয়াম, সেমিনারে বাংলাদেশ থেকে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন,'ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউশন অফ সুফি স্ট্যাডিজ'এর প্রতিষ্ঠাতা, মাইজভাণ্ডার শরিফের সাজ্জাদানশীন ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান শাহ্জাদা ড. শাহ্জাদা সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী। এ সকল আয়োজনে প্রায় ৩০টি দেশের শীর্ষ সুফি শেইখ, স্কলার, মুফতি, ওলামা মাশায়েখ, বুদ্ধিজীবী, গবেষক এবং তুরস্ক সরকারের উচ্চ পর্যায়ের মন্ত্রি, গভর্নর ও সরকারি কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেছেন।
এবি/এইচএন